প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হায়দ্রাবাদের পৌরসভার নির্বাচনে কি ফলাফল হবে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এদিকে ফলাফল বের হতে না হতেই দেখা যায়, বিজেপির উত্থান চরম পরিমাণে হতে শুরু করেছে। আর তারপরেই উচ্ছ্বসিত হতে শুরু করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। তবে হায়দ্রাবাদে বিজেপি ভালো ফল করলেও মহারাষ্ট্রের একটি ফলাফল রীতিমত চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনে 6 টি আসনের মধ্যে চারটি আসন জিতে নিয়েছে শিবসেনা এনসিপি জোট। স্বাভাবিকভাবেই এই রকম ফলাফল সামনে আসার সাথে সাথেই রীতিমত বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা মহাজোট গঠন করে বিজেপিকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই মহাজোট সফলতা পায়নি। তবে বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে হায়দ্রাবাদে বিজেপির ভালো ফলাফল করলেও, মহারাষ্ট্রে একাধিক রাজনৈতিক দল বিরোধী হিসেবে হাতে হাত ধরে লড়াই করে সাফল্য পাওয়াতে বিজেপি অত্যন্ত চাপে পড়ে গেল।

যার ফলে একাংশ কার্যত নিষ্ঠুর বিভিন্ন জায়গায় যদি বিরোধীরা একত্রিত হতে শুরু করেড় তাহলে বিজেপিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দেওয়া সম্ভব হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রবণতা যদি তৈরি হয়, তাহলে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যদি বিরোধীর হাত মেলাতে শুরু করে, তাহলে বিজেপি কিভাবে তার মোকাবিলা করবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। ইতিমধ্যেই শিবসেনার ছোটসঙ্গী এনসিপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই জয়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেল মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী হাওয়া কতটা শক্তিশালী।

কিন্তু কেন বিজেপি এত খারাপ ফলাফল করল? তাহলে কি বিরোধীরা হাত মেলানোর কারণে কার্যত ব্যাকফুটে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি? এদিন এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের ভোটের ফলাফলে আমাদের আশা অনুযায়ী আমরা আরও আসন পাব ভেবেছিলাম। কিন্তু একটি মাত্র জেতেছি। বিপক্ষে তিনটি দলের সংযুক্ত শক্তি নিয়ে আমাদের অঙ্কে ভুল ছিল।”

অর্থাৎ এতদিন গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের বিজেপি মোকাবিলা করলেও, মহারাষ্ট্রের এই নির্বাচনে বিজেপি যে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেভাবে শিবসেনা এবং এনসিপি একত্রিত হয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল, তাতে অন্যান্য রাজ্যেও যদি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে বিজেপির আসছে দিন অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলেই দাবি করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।