এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কর্তৃপক্ষের দুই ‘অমানবিক’ সিদ্ধান্তে চাকরি খোয়ানোর আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক

কর্তৃপক্ষের দুই ‘অমানবিক’ সিদ্ধান্তে চাকরি খোয়ানোর আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক


প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের জেরে কর্তৃপক্ষের দুই ‘অমানবিক’ সিদ্ধান্তে চাকরি খোয়ানোর আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক। পশ্চিমবঙ্গে নবনিযুক্ত ও অবশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর (এনআইওএস) যে প্রশিক্ষণের পরীক্ষা (ডিএলএড) হয়েছিল – তাতে অভিযোগ ওঠে প্রশ্নফাঁসের। সর্বভারতীয় পরীক্ষা হলেও, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার দরুন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনআইওএস কর্তৃপক্ষ – যার জেরে চূড়ান্ত অপমানিত রাজ্যের শিক্ষক মহল ক্ষোভে ফুঁসছেন।

আর তার মাঝেই এনআইওএস-এর সরকারি ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেখা গেল – বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০৬ ও ৫০৭ পেপারের পরীক্ষা একই দিনে হতে চলেছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারী ২ বিভাগে মোট ৬ ঘন্টা ধরে পরীক্ষা দিতে হবে রাজ্যের শিক্ষকদের। ফলে চূড়ান্ত অসুবিধার মুখে শিক্ষকরা। তার উপরে, এই রকম যে হতে চলেছে তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পড়ছিল – আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে অবশেষে সামনে এল সেই চূড়ান্ত বার্তা।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার সূচীর মত অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ‘কনফিডেন্সিয়াল’ ব্যাপার আগে থেকে এইভাবে ফাঁস হয়ে যায় কি করে? তবে শিক্ষকদের অসুবিধা এখানেই শেষ নয় – এরই সঙ্গে জানা গেছে বাকি থাকা ৫০৮ ও ৫০৯ অথবা ৫১০ পেপারের পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ১৫ ও ১৬ ই মার্চ হতে চলেছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে গেছে এই পরীক্ষাগুলিতে বেশ বড় সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করে অথবা RW হয়। কিন্তু, এই প্রশিক্ষণ শেষ করার জন্য ৩১ শে মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত NCTE শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষা শেষ করতে যদি ১৬ ই মার্চ লাগে, তাহলে ৩১ শে মার্চের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে সবাইকে পাশ সার্টিফিকেট কিভাবে দেবে? যাঁরা অকৃতকার্য হবেন, এত কম সময়ে তাঁদেরই বা কি হবে? এটা কি জেনেশুনে রাজ্যের শিক্ষকদের অসুবিধায় ফেলার জন্য পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শিক্ষক সমাজ। কেননা, বর্তমানে রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার প্রাথমিক, এস.এস.কে, এম.এস.কে ও বেসরকারী চাকুরীরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক আপাতত চাকরি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত!

এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের শীর্ষনেতা তথা প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা আগেই জানিয়েছিলাম NIOS কর্তৃপক্ষের মনোভাব মোটেই শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়, বরং পদে পদে বিব্রত করার সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা চলছে প্রশ্নফাঁসের মত বড়সড় ইস্যু ধামাচাপা দিতে। কিন্তু তারফলে রাজ্যের বিপুল পরিমান শিক্ষকের জীবনে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবথেকে বড় কথা, এত বৃহৎ পরিমন্ডলের একটি ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার একেবারে উদাসীন।

মইদুলবাবু আরও জানান, আমরা ইতিমধ্যেই NIOS-এর কলকাতার রিজিওনাল অফিসে এই নিয়ে ডেপুটেশন দিয়ে এসেছি। এমনকি, আমরা আইনি লড়াইয়ের পথেও যাচ্ছি। কিন্তু, আজ রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষকদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন! এই অবস্থায় রাজ্য সরকার চুপ করে থাকতে পারে না। তাই, আগামী ২১ শে জানুয়ারী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে আমরা বিকাশ ভবন অভিযান করছি। NIOS-এর এই হঠকারী ও অমানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে – আমাদের এই বিকাশ ভবন অভিযানে রাজ্যের শিক্ষক মহল ও সুশীল সমাজকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!