এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোট মিটতেই বঙ্গ-বিজেপির তিন মাস্টারমাইন্ড ঘাঁটি গাড়লেন দিল্লিতে, বাড়ছে জল্পনা

ভোট মিটতেই বঙ্গ-বিজেপির তিন মাস্টারমাইন্ড ঘাঁটি গাড়লেন দিল্লিতে, বাড়ছে জল্পনা


দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পালা সাঙ্গ হতেই সামনে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা। সেখানে দেখা যাচ্ছে কম-বেশি বিজেপি বাংলা থেকে ১৫-এর বেশি আসন দখল করতে চলেছে। যদিও তা বাস্তবে কতখানি সত্যি হবে তা দেখা যাবে ২৩ তারিখ সকালে যখন ইভিএম খুলে শুরু হবে ভোট গণনা। কিন্তু, এক্সিট পোল যদি একটুও বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলে, তাহলে বলতেই হবে তা রাজ্যের শাসকদলের কাছে বড়সড় ধাক্কা হিসাবে আসতে চলেছে।

বিশেষ করে যেখানে নির্বাচনের আগে থেকে শুরু করে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া জুড়েই, তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, বিজেপি গতবারে (বাংলা থেকে) দুটো পেয়েছিল, আর এবারে গোল্লা পাবে গোল্লা! সারা দেশেই গোল্লা পাবে, সরকারে আর ফিরতে হবে না! কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর আশায় সবরকমের জল ঢেলে দিয়ে – এক্সিট পোল কিন্তু দেখাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদিই দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন।

স্বাভাবিক নিয়মেই তৃণমূল নেত্রী এই এক্সিট পল গুলির উপরে চূড়ান্ত অনাস্থা দেখিয়েছেন! সবথেকে বড় কথা এর মধ্যেও তিনি বিজেপির চক্রান্ত খুঁজে পেয়েছেন! বিজেপি নাকি, এক্সিট পোলের হাওয়া তুলে ইভিএমে গরমিল করিয়ে জেতার চেষ্টা করছে! যা নিয়ে রীতিমত হাসাহাসি শুরু করে দিয়েছেন গেরুয়া নেতা-কর্মী-সমর্থকরা! তাঁদের বক্তব্য, হারের আঁচ পেয়েই আগাম পিঠ বাঁচাতে এইসব তত্ত্ব নাকি নিয়ে আসছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, সেই এক্সিট পোলের উপর ভর করেই আরও বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে তৃণমূল নেত্রীর জন্য বলে মনে করা হচ্ছে!

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এক্সিট পোলে তৃণমূলের ভরাডুবির ইঙ্গিত পেয়েই নাকি, তৃণমূলের দুই বিদায়ী সাংসদ, যাঁরা এবারেও তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন – তাঁরা নাকি সরাসরি দিল্লিতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তার থেকেও বড় কথা, তাঁরা নাকি আগামী ২৩ শে মে, যদি তৃণমূলের হয়ে জিতেও যান, তবুও সেদিনই কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করবেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য পরে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা ভোট প্রচারের সময় নরেন্দ্র মোদী থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে অর্জুন সিং, দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসু – সব বিজেপি নেতাই দাবি করছিলেন অন্তত ১০০ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং ২৩ তারিখের পর তাঁরা নাকি বিজেপিতে যোগদান করবেন! এদিকে বিজেপির যুব ও মাদারের যে তিন মাস্টারমাইন্ড এতদিন এই যোগদানের বিষয়টা দেখছিলেন, ভোট মিটতেই সেই তিন-মূর্তি গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন দিল্লিতে।

বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ও শঙ্কুদেব পণ্ডা ভোট মিটতেই তড়িঘড়ি দিল্লি পারি দেওয়ায় চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কেননা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের কোনো দিল্লি-সফরই বিফলা যায় নি। প্রতিবারেই তিনি দিল্লি গিয়ে কাউকে না কাউকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করিয়েছেন। এদিকে, একাধিক তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদের নাম ঘোড়া ফেরা করছে গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে! তাহলে কি আসলে দুইয়ে দুইয়ে চার?

এই প্রশ্ন নিয়েই বিজেপি যুবনেতা শঙ্কুদেব পন্ডার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ব্যক্তিগত কাজে দিল্লি এসেছি। সবে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে, এখনো বাকি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভোটগণনা। এর মাঝেই হঠাৎ করে একসঙ্গে আপনি, মুকুল রায় আর কৈলাশ বিজয়বর্গীয় একসঙ্গে দিল্লি গেলেন? তাও ব্যক্তিগত কাজে? সবটাই কি কাকতলীয়? জবাবে এবার হেসে ফেলেন গেরুয়া শিবিরের দাপুটে যুবনেতা আর তারপরেই বলেন, নো কমেন্টস!

তবে শঙ্কুদেব যতই ‘নো কমেন্টস’ বলে এড়িয়ে যান না কেন, রাজ্য-রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বড়সড় ধামাকা হতে চলেছে বঙ্গ-রাজনীতিতে। রাজ্য-রাজনীতির একঝাঁক প্রথম শ্রেণীর রাজনীতিবিদ নাকি অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আর তাই, বাংলার পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে ও এই যোগদান পর্ব সুনিপুনভাবে সমাধা করতে নীল-নকশা তৈরির জন্যই ডাক পড়েছে এই ত্রিমূর্তির! আপাতত নাকি কিছুটা স্থিতাবস্থা ও পরিকল্পনা রচনা। ২৩ তারিখ ফলাফল সামনে এলেই কাজ শুরু!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!