ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের তিন হেভিওয়েট নেতা বিধায়কদের লড়াই, জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে কলকাতা রাজ্য July 2, 2019 আজ পশ্চিমবাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম এবং মৃত্যু দিন পালিত হচ্ছে সারা রাজ্য জুড়ে। আর এই বিশিষ্ট চিকিৎসকের শ্রদ্ধা নিবেদনের মুহূর্তেও ফের সামনে চলে এল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। সূত্রের খবর, এই বিধানচন্দ্র রায়ের নামে গড়ে ওঠা কলকাতার বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত আজ সকালে বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কের উল্টোদিকে বিধান রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। যেখানে এই বিধাননগর পৌরসভার বেশ কয়েকজন মেয়র পরিষদ এবং কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মেয়র সব্যসাচী দত্ত যখন বিধানচন্দ্র রায়ের মুহূর্তে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন, তখন সেখান অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই পৌরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং বিধাননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে এখন তীব্র বিতর্ক চলছে। প্রায় অনেক দিন আগে থেকেই বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে এই সব্যসাচী দত্তের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। তবে লোকসভা ভোটের কিছু আগে সেই সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের প্রবেশ এবং লুচি আলুর দম খাওয়াকে কেন্দ্র করে সব্যসাচী বাবুর বিজেপিতে যোগের তীব্র জল্পনা শুরু হয়। বরাবরই অবশ্য তিনি তৃণমূলেই আছেন এবং তৃণমূলেই থাকবেন বলে জানিয়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর বিধাননগর বিধানসভায় পিছিয়ে থাকা এবং সব্যসাচী দত্তের বিধানসভা রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূলের ভালো ফলাফল হওয়ায় সেই বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক সুজিত বসুকে নাম না করে “পচা আলু” বলে কটাক্ষ করেন সব্যসাচী দত্ত। তারপরেই সেই সুজিত বনাম সব্যসাচীর দ্বন্দ্ব ক্রমশ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। আর এদিন বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিনে সেই সব্যসাচী দত্ত উপস্থিত থাকলেও ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং এখানকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুপস্থিতি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে পরে অবশ্য এই অনুষ্ঠানে এসে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু কেন ডেপুটি মেয়র ও বিধায়ককে ছাড়াই আগে মাল্যদান করে দিলেন মেয়র! এদিন এই প্রসঙ্গে মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, “কোনো অনুষ্ঠানে মেয়র প্রথমে মাল্যদান করেন। তারপরে অন্যরা করেন। কেউ দেরিতে বা ব্যক্তিগত ইচ্ছায় পরে মাল্যদান করতেই পারেন।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়ক তথা মন্ত্রীর জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। তাই দেরি হয়েছে। এটাতে তো অন্যায়ের কিছু নেই। এনিয়ে অযথা বিতর্ক খোঁজা হচ্ছে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন পালনেও যে সুজিত বসু বনাম সব্যসাচী দত্তের চাপা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকানো গেল না, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। আপনার মতামত জানান -