এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তীব্র বেসুরো হয়েও শেষ পর্যন্ত সুরে ফিরলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী এই নেতা

তীব্র বেসুরো হয়েও শেষ পর্যন্ত সুরে ফিরলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী এই নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল শিবিরের অশান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রার্থী তালিকায় স্থান না পেয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা গিয়ে ভিড় জমিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এবং আগামী দিনে আরও বেশ কিছু নেতা যাবেন বলে ইঙ্গিতও দিয়েছেন। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভাঙনের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ও বিতর্কিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। টিকিট না পেয়ে আরাবুল সুর বদলে ফেলেছিলেন। তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, তিনি হয়তো দল ছাড়তে চলেছেন। কিন্তু আগেভাগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

সেখানে বৈঠকের মাধ্যমে আরাবুলকে শান্ত করা গেছে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত আরাবুল ইসলাম তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা স্পষ্টতই উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ভাঙরের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে তিনি ব্যাপক প্রচার চালাবেন। প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের তৃণমূল প্রার্থী মোঃ রেজাউল করিম। উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকায় স্থান না পেয়ে শুক্রবার দেখা গিয়েছিল আরাবুল ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি তিনি নিজেই নিজের পার্টি অফিস ভাঙচুর চালিয়ে ছিলেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আরাবুল দলে থাকবেন কিনা তাই নিয়ে শুরু হয়েছিল তীব্র সংশয়। ভাঙড়ের দাপুটে নেতা আরাবুল নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনি আর দল করবেন কিনা তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই ডাক আসে কলকাতা থেকে। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরাবুলের বৈঠক হয় এবং অভিষেক আরাবুলকে বোঝাতে সমর্থ হন। আর তারপরেই আরাবুলের সুর বদল। আপাতত আরাবুলের পদক্ষেপ বলে দিচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুলকে দেখা যাবে তাঁর পুরনো ফর্মেই। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই বহু বিধায়ক গিয়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সোনালী গুহ, শীতল সর্দার জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা বিজেপিতেই যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা যে অনেককেই খুশি করতে পারেনি, সে কথা বোঝাই যাচ্ছে। তবে খুশি না হওয়ার কারণে যেভাবে তৃণমূল শিবির ছেড়ে চলে যাচ্ছেন দলে দলে বিধায়করা, তাতে তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলকে না ভালোবেসে শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভেই পড়েছিলেন এইসব নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে? আপাতত আরাবুলকে সামলে তৃণমূল কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে লাখ টাকার প্রশ্ন হল, এই ব্যাপক ভাঙনের জেরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের শক্তিক্ষয় হচ্ছে নাতো?

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!