এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলে, দলীয় সদস্যের হাতেই নিগৃহীত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলে, দলীয় সদস্যের হাতেই নিগৃহীত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই হুগলি জেলার পুরশুড়া চিলাডিঙি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে তীব্র বিরোধ, গতকাল সোমবার তা একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গতকাল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে নিগ্রহের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েতের বৈঠকে রেজিউলেশন নিয়ে শুরু হয় বচসা, যা থেকে বাধে ধস্তাধস্তি। প্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা।

গতকাল পুড়শুড়ার চিলাডিঙি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতিকে মারধর করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রেনুকা বারিক ও দু-তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য সবসময় তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করে থাকেন। তাদের ইচ্ছামত পঞ্চায়েত চালাতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে, কিন্তু সরকারের এক টাকাও যদি খরচ করা হয়, তবে তার হিসাব দিতে হয় তাঁকে।

তিনি স্বাক্ষর করে দিলেই যে, টাকা খরচ করা যাবে, তা নয়। এর জন্য পঞ্চায়েতে সরকারি লোক আছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই পঞ্চায়েতে কোনরকম দুর্নীতি হয়নি। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েতের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সরকারি লোকেরা, তাঁরা কেন দুর্নীতি করতে দেবেন? তিনি অভিযোগ করেছেন, উপপ্রধান অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যরা পঞ্চায়েতের কাজকর্মে সর্বদা বাধার সৃষ্টি করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সেখ বসির আলি জানিয়েছেন যে, গত ৮,৯ মাস ধরে সরকারি টাকা-পয়সা নিয়েও কোনো রকম মিটিং করা হয় নি। পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের ৮ লক্ষ টাকার কোন হিসাব দিতে পারেননি। এ বিষয় নিয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। গতকাল তাদের বৈঠক ছিল। সেখানে নিজেই খাতা ছিঁড়ে ফেলে চিৎকার করে বেরিয়ে গেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ নিজেই করে থাকেন তিনি। পঞ্চায়েতের সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নিয়ে থাকে পঞ্চায়েত প্রধানের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হিসাব চাইতে গেলে হিসাব দিতে চান না তিনি।

গতকাল পঞ্চায়েতের বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে রেজিউলেশন লেখা নিয়ে বিরোধ বাধে পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতির সঙ্গে তৃণমূলের বেশকিছু পঞ্চায়েত সদস্যের। পঞ্চায়েত প্রধানকে খাতায় সই করার অনুরোধ করা হয়। খাতায় সই দিতে তিনি রাজি না হলে, ক্ষুব্দ হয়ে তাঁর সামনেই খাতা ছিঁড়ে ফেলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই ছবি মোবাইলে তুলতে গেলে প্রধানকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকালের এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। সরকার গঠনের অল্প সময় পরেই দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল দলের অস্বস্তিও যথেষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেখানে নির্দেশ দিয়েছেন যে, দলের কোনো রকম বিরোধ রাখা চলবে না, সেখানে দলের এই তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় নেতৃত্বকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!