তীব্র গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, বাড়ছে লকডাউনের আশঙ্কা জাতীয় বিশেষ খবর March 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে। দেশজুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ তীব্রগতিতে। আবার, প্রতিদিন নতুন করে রেকর্ড গড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। সবচেয়ে দুরবস্থা মহারাষ্ট্রের। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের। চলতি বছরে এটিও একটি রেকর্ড। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯ জন। চলতি বছরে যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১২ জন মানুষের। এটিও রেকর্ড। করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো মহারাষ্ট্রের। এছাড়াও অন্ধপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরালা রাজ্যের পরিস্থিতিও আশঙ্কাজনক। বিশেষত, মহারাষ্ট্র, কেরালার পরিস্থিতি নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। সর্বত্র মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার গত বছর আজকের দিনেই জনতা কারফিউ ঘোষিত হয়েছিল দেশজুড়ে। এরপর গত বছরের ২৫ সে মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে লকডাউন। কয়েক মাস ধরে থাকে করোনার তীব্র সংক্রমণ। এরপর চলতি বছরের শুরু থেকে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। সেই সঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন হাতে এসে পৌঁছায়। তারপর থেকে কোনো সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে আবার বেড়ে চলছে সংক্রমণ। কিছুদিন ধরে যেভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তবে কি আবার ঘোষিত হতে পারে লকডাউন? লকডাউন হবে কিনা? তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ দেশের বেশ কিছু রাজ্যে রয়েছে নির্বাচন। আংশিক লকডাউন করে, নাইট কারফিউ করে সংক্রমণ মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে টিকাকরনের কাজ চলছে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই দেশের সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এখনো দেশের বহু মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া বাকি। তাই করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে প্রশাসনকে হয়তো আবার কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হতে পারে। তবে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও দেশবাসীর মধ্যে সচেতনতা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এখন অনেকেই মাস্কের ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন, স্যানিটাইজার ব্যবহারেও অনেকের মধ্যে অনীহা রয়েছে। অবাধে চলছে জনসমাগম। যার ফলে সংক্রমণ আরো তীব্র হচ্ছে বলে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -