এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিজেপিতে! বিধানসভার আগে বাড়ছে অশান্তি!

তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিজেপিতে! বিধানসভার আগে বাড়ছে অশান্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেএর কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের মত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বর্তমানে যে বিজেপির 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করা প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত, এখন সেই বিজেপি নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মশগুল হয়ে রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপির অন্দরে আদি বনাম নব্যের দ্বন্দ্ব বাড়তে দেখা যাচ্ছে। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই নাটাবাড়ি বিধানসভার গুড়িয়াহাটিতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার হন।

যেখানে অভিযোগ ওঠে যে, সেই বিজেপি নেতা নিজের ছেলেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করেছেন। আর পর পর এই ধরনের ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে। একদিকে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার অভিযোগ এবং অন্যদিকে বিজেপি নেতার সঙ্গে বিজেপি নেতার দ্বৈরথ নিঃসন্দেহে সমস্যায় ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংগঠনকে শক্তিশালী না করে বিজেপির অন্দরে যদি এভাবেই গন্ডগোল চলতে থাকে, তাহলে তারা কিভাবে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

অনেকে বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ভালো ফলাফল করার পর তারা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেছেন। বিধানসভা নির্বাচন যে তাদের কাছে প্রধান টার্গেট, তা ভুলে গিয়েছেন অনেক নেতা নেত্রী। তাই এখন নিজেদের মধ্যে পদ পাওয়ার দৌড়ে অনেকেই গন্ডগোলে মশগুল রয়েছেন। যার ফলে বাড়ছে সমস্যা। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করা অপেক্ষা এখন নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে। যার ফলে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপকভাবে হোঁচট খেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে বিজেপি কিভাবে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “এসব উটকো ঝামেলা যারা করছে, দলীয় ভাবে তাদের সতর্ক করা হবে। এখানে কেউ আদি বা নব্য নয়। যারা মাঝামাঝি সময়ে এসেছেন, তাদের নিজেদের মধ্যে কিছু গন্ডগোল রয়েছে। আমরা ওদের নিয়ে বসব। আদি বা নব্যের গন্ডগোল বিজেপিতে নেই। গুলি চালানোর ঘটনা পুরোপুরিই পারিবারিক বিষয়। কারও কাছে অস্ত্র রাখা দল কোনোভাবেই অনুমোদন করে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” এদিকে এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “নাটাবাড়ি ঘটনা বিজেপির আদি এবং নব্যের মধ্যে লড়াইয়ের ফল।

বিজেপির পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। তাই ভয় দেখিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। তার জন্যেই এই অস্ত্রের আমদানি। গত পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচনে তারা যা করেছে, এবারেও তারা সেই খেলায় মেতেছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা নিয়ে যেমন বিজেপিকে চাপে ফেলা হচ্ছে, ঠিক তেমনই দুই বিজেপি নেতার মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনায় বিজেপির অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে।

ফলে দুই দিক থেকে এখন চাপে পড়তে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তাই বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এখন তারা যদি দলের সংগঠনকে শৃংখলাবদ্ধ করে তুলতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তারা আরও বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। তাই গোটা পরিস্থিতি বিজেপি কিভাবে মোকাবিলা করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!