তীব্র গতিতে বাড়ছে বিজেপি! শো-কজ হওয়া নেতারাই এখন তৃণমূলের ‘সম্পদ’! ঘোষণা প্রকাশ্যেই! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যে গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো জলবৎ তরল নয়, সেকথা অস্বীকার করা অমূলক শাসকদল তৃণমূলের কাছে। কারণ, রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে বিজেপি। তৃণমূল দলের ঘর ভেঙে বিজেপির দল ভারী করার চেষ্টা চলছে অবিরত। বিশেষত বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় পদ দেবার পর থেকেই বিজেপির এই প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই। এই অবস্থায় দলের শোকজ হওয়া নেতাদের পুনরায় নির্দোষ বলে দলে সসম্মানে বহাল করলো জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল। জানানো হল ৪ জন শোকজ হওয়া নেতা যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে তাঁদের ওপর যথেষ্ট সন্তুষ্ট দল। তাই আবার তাঁদের দলে অভিনন্দন জানিয়ে দলের কাজে শামিল করা হবে। কেনই বা এই নেতাদের দল থেকে শোকজ করা হয়েছিল? তার উত্তর বলা যায়, কাট মানি গ্রহণ, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ব্যয়, ১০ কোটি টাকা খরচ করে গৃহ নির্মাণ এমন বহু অভিযোগ ছিল এই নেতাদের বিরুদ্ধে। এই নেতারা হলেন জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ, নাগরাকাটার নেতা লতিফুল ইসলাম, ময়নাগুড়ির নেতা বাবন পাল, জলপাইগুড়ি সদরের নেতা অসীম সরকার প্রমুখরা। তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে জানানো হলো, এদের সকলের জবাবেই তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব যথেষ্ট সন্তুষ্ট। গতকাল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে তিনমাস আগে শোকজ করা নেতাদের সসম্মানে দলে সামিলের কথা জানানো হলো। এ সম্পর্কে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী গতকাল শুক্রবার বললেন, “ওই নেতাদের বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ নেই।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, ” কী অভিযোগে শো-কজ় করা হয়েছিল, তা নিয়ে দলের বাইরে কিছু বলব না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূলের জেলা কমিটির মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ এদের ‘দলের সম্পদ’ বলে ভূষিত করলেন। শোকজ হওয়া তৃণমূল নেতা তথা ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ গতকাল জানালেন, ” প্রথম দিন থেকেই বলেছিলাম, আমি নির্দোষ।” তবে এর পূর্বেই রাজেশ সিংহকে তৃনমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বাবন পালকে ময়নাগুড়ির ৩ নম্বর ব্লকের সভাপতি করা হয়েছিল। সে প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর বক্তব্য, ” দস্যু রত্নাকরও একদিন ঋষি বাল্মীকি হয়েছিলেন।” তবে শোকজ হওয়া নেতাদের এমন ভাবে নির্দোষ প্রমাণ ও দলে সসম্মানে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে বিজেপি কটাক্ষ না করে ছাড়ে নি। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর বক্তব্য, ” শো-কজ় শুরু হলে তৃণমূলের ঘরই উজাড় হয়ে যেত।’’ বস্তুত, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাতে দ্রুতগতিতে যেভাবে বাড়ছে বিজেপি, এই অবস্থায় তৃণমূল থেকে শোকজ করা নেতাদের নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চাইছে না শাসকদল। এজন্যই তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোরতা দেখায়নি দল, এমনটাই বিভিন্ন মহলের অনুমান। আপনার মতামত জানান -