তীব্র মমতা বিরোধিতা করে বিধানসভায় মুখ পুড়তেই এবার বিজেপি বিরোধিতায় মন দিলেন অধীর চৌধুরী কংগ্রেস বিজেপি রাজনীতি রাজ্য May 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে বাম ও কংগ্রেস দলের। একটিও আসন জিততে না পেরে মন্ত্রিসভায় একেবারে শূন্য হয়ে উঠেছে এই দুই দল। কংগ্রেসের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ঝুলিতে একটি আসনও যায়নি। এদিকে অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধী মুখ বলেই পরিচিত রাজ্য রাজনীতিতে। এবার কি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতার চেনা পথ ছেড়ে বিজেপির বিরোধিতা করবেন? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ,গতকাল বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেও বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে দলের পক্ষ থেকে এই বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিজেপির এই বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ সিদ্ধান্ত। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বিজেপি যদি বিধানসভা বয়কটই করে, তবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল কেন? শুধুমাত্র সরকার গঠন করতে কি নির্বাচনে অংশ নেয়া হয়? গণতন্ত্রে সরকারের পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ সকলেরই থাকা প্রয়োজন। কারণ বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোন গণতন্ত্রই শক্তিশালী হতে পারে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অধীর চৌধুরী আরো অভিযোগ করেছেন, বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি অসম্মান করেছে মানুষকে। তাঁর কথায় বিজেপিকে ভোট দিয়ে যারা জয়ী করেছেন, তাদের অসম্মান করা হয়েছে। বিধানসভায় উপস্থিত না থাকলে মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা কিভাবে বলা যাবে? বিধানসভা ও লোকসভা হলো মানুষের জন্য কথা বলার জায়গা। বিধানসভায় উপস্থিত থেকেও প্রতিবাদ করা যায়। কিংবা প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বাইরে বেরোনোও যায়। কিন্তু বিধানসভা বয়কটের অর্থ হলো মানুষের রায়কে অমর্যাদা দেওয়া। তাঁর অভিমত, নিজেদের পরাজয় মানতে না পেরেই বিজেপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। ঘোর মমতা বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত অধীর চৌধুরী দলের ভরাডুবির পর কি এবার নিজের ভোল বদলে বিজেপি বিরোধীতায় মন দেবেন? এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকেই। আপনার মতামত জানান -