এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টিকিট পাননি, সেই ক্ষোভেই কি দলীয় প্রার্থীকে ভরাডুবির দিকে ঠেলবেন নেতারা?

টিকিট পাননি, সেই ক্ষোভেই কি দলীয় প্রার্থীকে ভরাডুবির দিকে ঠেলবেন নেতারা?

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই তাদের নিজ নিজ দলের হয়ে টিকিট পাওয়ার আশা করেছিলেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সদ্য দলে আসা ব্যক্তিদের বা সমাজের বিশিষ্ট জনকে প্রার্থী করায় শাসক ও বিরোধী দলের উপর কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাদের নেতারা।

আর এই ঘটনা থেকেই এখন বঙ্গ রাজনীতিতে তীব্র আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে যে, তাহলে কি তৃণমূল হোক বা বিজেপি, বাম হোক বা কংগ্রেস – রাজ্য রাজনীতিতে প্রায় প্রতিটা দলেই যে সমস্ত নেতারা টিকিট পাননি, সেই সমস্ত নেতারা এবার দলীয় প্রার্থীকে ভরাডুবির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন? কেননা তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই উত্তরবঙ্গের এক জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। আর যে ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ফলে সেই জেলায় দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আদৌ কতটা মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে একটা সংশয়।

পাশাপাশি বিজেপির তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই একাধিক জেলায় সদ্য তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করে দেওয়ায় প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন অনেক নেতা। যানিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকেও। আর ভোটের এই মরসুমে বাংলাকে টার্গেট করা বিজেপির নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ সদ্য দলে আসা ব্যাক্তিদের প্রার্থী করায় যে সমস্ত জেলায় তারা জিতবে বলে আশা করেছিল সেই সমস্ত জেলায় ভোট ম্যানেজার বিজেপি নেতারা আদৌ কতটা দলকে জেতানোর জন্য ঝাপাবেন তা নিয়ে ধন্দ একটা থেকেই যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কিছুদিন আগেই একদা কংগ্রেস কর্মীদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল যে লক্ষণ শেঠের ওপর, সেই লক্ষ্মণ শেঠ কংগ্রেসে যোগদানের পরই তাকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী করে দেওয়া হলে সেখানকার একাংশ “লক্ষ্মণ শেঠকে মানা হবে না” বলে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেয়। আর দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার স্বপ্ন দেখলে প্রকাশ্যে প্রার্থী নিয়ে দলের এই বিদ্রোহে হাত শিবিরও অনেকটাই অস্বস্তিতে রয়েছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রায় প্রতিটা দলেরই এবার চিন্তার কারণ দলীয় অন্তর্ঘাত। কারণ যে সমস্ত নেতারা দলের টিকিট পাননি তারা খুব সহজেই যে দলকে জেতানোর জন্য ঝাপাবেন, এমনটা নির্দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে বলতে পারছে না শাসক-বিরোধী কোনো শিবিরই। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়, তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!