টিকিট না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তৃণমূল নেতার, বাড়ল জল্পনা রাজ্য April 26, 2018 আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি দৃষ্টান্ত মূলক ঘটনা হলো আসন সংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক মনোনয়নপত্র পেশ। এই বিষয় নিয়েই সোস্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের এক বিদায়ী সদস্য অমরনাথ ঝা। এদিন তিনি জানালেন,তিনিও বিদায়ী সদস্য হলেও এ বারে টিকিট পাননি। কিন্তু তাতে ধৈর্যহারা নন। দল তাঁকে সংগঠনের কাজ করতে বলেছে। এবং তিনি তাই করবেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অমরনাথ বাবু দাবি করেছেন যে দলের সিদ্ধান্তে তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই , নেই কোনো বিরোধীতাও। বরং তিনি মনে করেন যাঁরা দলের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন তাঁরা পরোক্ষে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ, রাগ দেখিয়ে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করবেন না। আসুন সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করি।” এখানে স্বাভাবিক ভাবেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে যে গুলি হলো, কেন অমরনাথ বাবু এই শান্তির বার্তা দিচ্ছেন? এর পিছনে কী কোনো গোপন অভিসন্ধি লুকিয়ে রয়েছে? নাকি এই বার্তা আসলে তাঁর বিক্ষোভের প্রকাশ? যদিও শেষ প্রশ্নের উত্তর এই ফেসবুক পোষ্ট থেকেই পাওয়া যাচ্ছে যেখানে তিনি লিখেছেন,”দলের জেলা সভাপতি আমাকে জেলা পরিষদের টিকিট না দিয়ে দলের কাজ করতে বলেছেন। আমি তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করিনি।” যদিও অমরনাথ বাবুর অনুগামীদের দাবি অনুয়ারী নিজের টিকিট না পাওয়ার কথা লিখে ঘুরিয়ে আসলে ক্ষোভই জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য অমরনাথবাবু তাঁর পোষ্টে কার্যকলাপ এই সব প্রশ্ন ওঠার সম্ভবনার কথা ভেবে আগাম লিখেছিলেন, “দল হয়তো মনে করে, আমি ব্লকের নেতৃত্ব ভাল দিচ্ছি। ভোট চুকে গেলে নিশ্চয়ই আরও দায়িত্বশীল, সম্মানজনক পদ দেবে। এতে রাগের কি আছে!” এই প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, “দলের নানা কৌশল থাকে। হয়তো একাধিক কেন্দ্রে একাধিক ব্যক্তিকে মনোননয়ন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যাহারের সময়ে দলের নির্দেশে অনেকে মনোনয়ন ফিরিয়ে নেবেন। আমাদের দলে বিক্ষুব্ধ কেউ নেই।” আপনার মতামত জানান -