এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তিক্ত স্মৃতি সরানোর কাজ শুরু, নতুন ইতিহাস রচনা মহানগরীতে!

তিক্ত স্মৃতি সরানোর কাজ শুরু, নতুন ইতিহাস রচনা মহানগরীতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2016 সালের 31 শে মার্চের তিক্ত ঘটনা স্মরণে আছে সকলের। সূর্য যখন মধ্যগগনে, যখন যানচলাচল তুঙ্গে, ঠিক তখনই হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে জনপ্রিয় পোস্তা ফ্লাইওভার। মুহুর্তের মধ্যে থমকে যায় গোটা কলকাতা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা আত্মীয়-পরিজনেরা কলকাতায় থাকা নিজেদের আত্মীয়ের খোঁজ নিতে শুরু করেন। কেউ যদি বাইরে অফিস কাছারিতে বের হয়, তাহলে প্রমাদ গুনতে শুরু করেন তাদের আত্মীয়- পরিজনরা‌। ফায়ার ব্রিগেড, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আনাগোনা রীতিমত স্তব্ধ করে দেয় গোটা কলকাতাকে। এভাবে কোনো ফ্লাইওভার হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে, তা ভেবে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।

শুধু তাই নয়, ভেতরে কত মানুষের মৃতদেহ রয়েছে, কাদের কাদের নিকটাত্মীয়রা প্রাণ হারালেন, সেটা ভাবতে গেলেই অনেকের গা শিউরে উঠতে শুরু করে। অবশেষে পাঁচ বছরের তিক্ত স্মৃতিকে সরিয়ে দিয়ে পোস্তা উড়ালপুল মেরামত করতে শুরু করা হল কাজ। বুধবার থেকে সেই কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। আর পোস্তা উড়ালপুল ঠিক করার কাজ শুরু হতেই পাঁচ বছর আগেকার তিক্ত স্মৃতি মনে পড়তে শুরু করেছে অনেকের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বাম সরকারের আমলে তৈরি করা হয়েছিল এই পোস্তা ফ্লাইওভার। কিন্তু তৃণমূল সরকারের আমলে অর্থাৎ গত 2016 সালে এই উড়ালপুল ভেঙে পড়ে। এদিকে যে সমস্ত মানুষেরা এই ফ্লাইওভার তৈরি হতে দেখেছিলেন, তারা আবার চোখের সামনে সেই ফ্লাইওভার ভেঙে পড়তে দেখে রীতিমত হকচকিয়ে গিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অবশেষে পাঁচ বছর পর সেই উড়ালপুলকে তৈরি করার কাজ শুরু করা হল। বেশ কয়েক বছর যে সময় লাগবে এই উড়ালপুলকে তৈরি করতে, তা বলাই যায়। তবে সকলেই চাইছেন, এবার অন্তত শক্তিশালীভাবে তৈরি হোক এই উড়ালপুল। যাতে তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে না পড়ে। প্রচুর মানুষের প্রাণ যেন চলে না যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাঁচ বছর আগের তিক্ত স্মৃতি কারওর ভোলার নয়। নতুন করেই উড়ালপুল তৈরি হতে হয়ত মানুষের মনে কিছুটা হলেও আশ্বাস তৈরি হয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না কিছুতেই। যাদের আত্মীয়-পরিজনেরা এই উড়ালপুলের নিচে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়েছিলেন, উড়ালপুলের ভগ্নদশা সংরক্ষণে সরকার উদ্যোগ নেওয়াতে তারা আবার পাঁচ বছর আগেকার স্মৃতি মনে করতে শুরু করেছেন।

অনেকের চোখেই স্বজনহারা যন্ত্রণার জন্য জলের ছাপ দেখা যাচ্ছে। জানা গেছে, প্রায় 45 দিন ধরে এই পোস্টটা উড়ালপুল ভাঙার কাজ চলবে। তারপর আবার শহরের বুকে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এই উড়ালপুল। তবে সুসজ্জিত ভাবে এই উড়ালপুল তৈরি হওয়ার পরেও, তিক্ত স্মৃতি যে বহন করে বেড়াতে হবে কলকাতার সহ গোটা রাজ্যের মানুষকে, তা বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!