প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই অভিযোগ বিভিন্ন সময় করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। আর তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হতেই হিংসার ঘটনা নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। ক্রমাগত সন্ত্রাস থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিরুদ্ধে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে সরব হচ্ছেন বিজেপি নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে তিন বাংলাদেশি জঙ্গী কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হতে না হতেই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ডাকে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই বাংলায় এই তিন জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করার খবর পেয়েছেন তিনি। আর সেই খবর পেতেই রীতিমতো তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ আজকাল উগ্রপন্থীর জন্ম দিচ্ছে। এখানেই তৈরি হচ্ছে তারা। আর তাতে সারাদেশ সমস্যায় পড়ছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গকে তাদের নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে ফেলেছে।”

অর্থাৎ দিলীপবাবু এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন এই জঙ্গী উপদ্রব আটকাতে ঠিকমতো সচেষ্ট নয়। আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধীরে ধীরে তা গোটা দেশের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে তৃনমূল সরকারের বিড়ম্বনা সুকৌশলে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিন জেএমবিএ জঙ্গিকে। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশের নাগরিক এই জঙ্গিরা কিভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করল, তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয় নানা মহলে। ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিজেপি। আর এবার দিল্লিতে বসে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার জেরে বাংলার তৃণমূল সরকারের চাপ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।