তিন কর্মীর মৃত্যু, কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব মমতা! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। সামনেই পয়লা এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রয়েছে। যে নির্বাচনে অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি ভোট হবে হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে আজ শেষ মুহূর্তে প্রচারে রীতিমত ঝড় তুলছেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। নির্বাচন আসলেই বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ তৈরি হতে দেখা যায়। দিন ঘোষনার সাথে সাথেই রাজ্যের আইনশৃংখলার দায়িত্ব চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। তবে ভোট ঘোষণা থেকে শুরু করে নানা ঘটনায় ইতিমধ্যে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তাদের দলের একাধিক কর্মী খুন নিয়ে নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকের জনসভা থেকে বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আজ হুইলচেয়ার করে নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকে প্রথম জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। নিজের দলের একাধিক কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রীতিমত কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “কমিশন দেখছে আইন শৃঙ্খলা। এই কদিনে আমাদের তিনজন কর্মী খুন হয়েছে বিজেপির হাতে। বিজেপির একজন সুইসাইড করেছিল কোচবিহারে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখা গিয়েছে। তাই নিয়ে 10 কিলোমিটার মিছিল করল। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কোনো বিচার হল না।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চাইলেন, তার সরকার যতদিন পশ্চিমবঙ্গে ছিল, ততদিন খুনের রাজনীতি ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার পরেই বিজেপি খুনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে কমিশন যে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ, সেকথাও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বললেও তাকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের পাল্টা দাবি, এতদিন রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস থাকলেও, প্রতিমুহূর্তে বিরোধীদের কর্মীদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া থেকে শুরু করে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটাত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সামনে নির্বাচন। আর হার নিশ্চিত জেনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত কথা বলে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তবে মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য নির্বাচনের মত এই নির্বাচন অতটা সহজ নয়। এবারের লড়াই অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি। তাই শেষ মুহূর্তে প্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ময়দানকে আরও গরম করিয়ে তুলছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। আর শেষ মুহূর্তের প্রচারে নেমে নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি এবং কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -