একুশের অগ্নিপরীক্ষার আগে কাজ হচ্ছে না! ক্ষিপ্ত মমতার কড়া ধমকের মুখে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাজে যে কোনো ভাবেই ঢিলেমি করা যাবে না, তা বারেবারেই প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর কয়েকটা মাস বাকি। তারপরেই অগ্নিপরীক্ষা রয়েছে। রাজ্যের শাসন ক্ষমতা কারা দখল করবে, তা ভোটবাক্স খোলার পরেই বোঝা যাবে। কিন্তু তার আগে এবার দ্রুত যাতে কাজ শেষ করা হয়, তার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এবার তিনমাসের মধ্যে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির কর্মতীর্থ ভবনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে মঙ্গলবার উত্তরকন্যা প্রশাসনিক বৈঠক ধুপগুড়ির কর্মতীর্থ বিষয়টি তুলে ধরেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায় যেখানে তিনি বলেন ধুপগুড়ির কর্মতীর্থ কথা বলব 200 ব্যবসায়ীকে দোকানঘর দেওয়ার জন্য 2018 সালে এটি তৈরির কাজ শুরু হয় 500 দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলা হয়েছিল এখনো হয়নি ইতিমধ্যেই 3 জন ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা করেছেন আর মিতালী দেবীর মুখ থেকে এই কথা শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে তিনি জানতে চান যে, কোন দপ্তর এর দায়িত্বে রয়েছে। যেখানে প্রথমেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের নাম উঠে আসে। আর তারপরেই সেই দপ্তরের কর্তা কে রয়েছেন, মাইকে তার খোঁজ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে জানতে পারা যায় যে, সংখ্যালঘু দপ্তর এই কর্মসূচির জন্য অর্থ বরাদ্দ করলেও, তার কাজ করছে জেলা পরিষদ। আর তারপরেই জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমত ধমকের সুরে জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তরাদেবীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের তো টাকা দিয়ে দিয়েছে। কাজ করছেন না কেন!” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়ে জেলা সভাধিপতি তার উত্তর দিতেই তাতে আরও ক্ষিপ্ত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ধুর মশাই। এজেন্সিকে ডাকুন। ডিএম ডাকবে..” পরবর্তীতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন যে, সেই এজেন্সিকে বাতিল করা হয়েছে। যার ফলে জেলাশাসক আগামী চার মাসে সেই কাজ করার আশ্বাস দেন এদিনের বৈঠকে। তবে চার মাস নয়, আগামী তিন মাসের মধ্যেই যাতে এই কাজ সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য পাল্টা নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে এবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের অন্দর মহলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে কাজ শেষ করতে এদিন রীতিমত গাইডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তার পর জেলা প্রশাসন কর্মতীর্থ ভবনের কাজ শেষ করতে কতটা উদ্যোগী এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -