তিন তালাকের পর এবার বহুবিবাহ তুলে দিতে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের, আশায় সংখ্যালঘু মহিলারা জাতীয় December 4, 2019 ইতিমধ্যেই লোকসভা এবং রাজ্য সভাতে তিন তালাক বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিপূর্বে এই নিয়ে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে অনেক জলঘোলা হলেও বর্তমানে আইন মোতাবেক তিন তালাক অবৈধ বলে ঘোষিত করা হয়েছে। আর এর মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে, আরো দুইটি প্রথার বৈধতা নিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করার মাসকয়েক পর সংখ্যালঘুদের বহুবিবাহ, বহুকামিতা এবং নিকাহ হালালার সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করে দেখার জন্য সর্বোচ্চ আদালতের কাছে মামলা দায়ের করা হয়েছে 2018 সালে। শুধু তাই নয়, প্রথাগুলিকে তুলে দেওয়ার জন্য মহামান্য সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইন কমিশনের কি বক্তব্য, তা আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি বি আর গাওয়াই এবং বিচারপতি সৌর্যকান্তর এজলাস থেকে মামলাকারী বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মামলাটির জরুরীভিত্তিতে শুনানি সম্ভব নয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শীতকালের ছুটির পরে 2020 সালের জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে তরফ থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বহু বিবাহ করলে স্বামীর বহু বিবাহ নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে না তার স্ত্রী। আবার একবার বিবাহ বিচ্ছেদ হলে স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে না স্বামী। এরকম পরিস্থিতিতে মহিলাকে পরপুরুষের হাতে তুলে দিয়ে তার সম্মতি নিয়ে ফের তাকে নিকাহ করা যেতে পারে। তিন তালাক বিরোধী আইন প্রণয়নের সময় যেমন দেখা গিয়েছিল, মুসলিম সমাজে অনেক মহিলারাই এই আইনের জন্য রীতিমতো রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছিলেন। তেমনি বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা প্রথার বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিযোগ রয়েছে বহু মুসলিম মহিলার। এখন দেখার বিষয়, এই ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ আদালত তার শুনানিতে কি রায় প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে সেই রায়ের ভিত্তিতে ভারত সরকার বা আইন মন্ত্রক কি রকম আইন প্রণয়ন করেন! সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতির উপরে এখন নজর থাকবে দেশবাসীর। আপনার মতামত জানান -