করোনা আবহে বিরোধী আক্রমনে ঘুম উড়েছে তৃণমূলের? সামাল দিতে প্রশান্ত কিশোরকে ডাক শাসকদলের কলকাতা রাজ্য April 23, 2020 করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎপরতা অবলম্বন করেছিলেন। তবে বর্তমানে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে করোনা মোকাবিলায় নানা দুর্বলতার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। প্রথমদিকে সর্বদলীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, এমনকি বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার। হাজার বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও করোনাকে হারাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তারা। তবে বর্তমানে রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় ঠিকমতো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর বিরোধীদের লাগাতার অভিযোগে রীতিমতো ব্যাকফুটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ব্যাকফুটে পড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস করোনার সময় বিপাকে পড়ায় এখন তারা সাহায্য নিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মত রাজনৈতিক পরামর্শদাতার। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তীব্র তরজা শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে কিভাবে পথ চলতে হবে, তার পরামর্শ দিলেন তাদের রাজনৈতিক রননীতিকার। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে কলকাতায় এসেছেন প্রশান্ত কিশোর। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছু কথা হয়েছে তার। আর এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরের। আর বিশিষ্ট নির্বাচনী রননীতিকারের সঙ্গে করোনার ভয়াবহ মুহুর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ বলে দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এই পরিস্থিতিতে যত দিন যাচ্ছে, ততই বেসামাল হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। ফলে মহামারীর সময় যাতে সাধারণ মানুষের চোখে তৃণমূলের ভাবমূর্তি খারাপ না হয়, তার জন্যই এবার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিতে হল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের কি আলোচনা হয়েছে, তার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, লোকসভা নির্বাচনের পর যেভাবে “দিদিকে বলো” থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তি ফেরাতে সচেষ্ট হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি আবার কিছুটা ক্ষুন্ন হওয়ায় তা ফেরাতেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার এই আলোচনা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান স্ট্র্যাটেজি মেকিংয়ের প্রাণভোমরা প্রশান্ত কিশোরের কলকাতায় আগমন নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সকলেই। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – করোনা আবহে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে তো কাউকে প্রায় যেতেই দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে পিকের কলকাতায় আগমন নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ আরও ঝাঁঝালো হয়ে উঠলো বলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পরে এর কোনো খবর পাওয়া যায় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -