প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তিন দিন আগে সকালবেলায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। একটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে, ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, নাকে-মুখে কালো ধোঁয়া লেগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র। এরপর, সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র জানালেন যে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে শেষ করে ফেলতে উঠে-পড়ে লেগেছেন বহু মানুষ। যেকোনো মূল্যে তাঁর ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁরা।

সম্প্রতি, এক ফেসবুক লাইভে এসে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র জানালেন যে, একসময় বিপদের দিনে তিনি যাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তারাই এখন তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফেসবুক লাইভে পূজা পাঠ করতে দেখা যায় বিধায়ককে। পুজোর মন্ত্র পড়ার পর মদন মিত্র জানান, বহু মানুষ তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে শেষ করে দিতে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছেন। যেকোনো মূল্যে তাঁর ক্ষতি করতে কেউ মন্দিরে যাচ্ছেন, কেউ বা যজ্ঞ করছেন। এমন ধরনের কিছু মানুষ আছেন, যারা চান বিধায়ক মদন মিত্র একেবারে শেষ হয়ে যান। কিন্তু এই ধরনের মানুষেরাই যখন চরম বিপদে পড়েছিলেন, তখন ঈশ্বরের মতো তিনি এদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।

মদন মিত্র অভিযোগ করেছেন, বিপদের দিনে তিনি যাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তারাই এখন তাঁর ক্ষতির চেষ্টা করছে। তবে, এখনও যদি তাঁরা বিপদে পড়েন, তবে বন্ধুর মতো তিনি তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। বিধায়ক জানালেন, নির্বাচন করতে গিয়ে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, এরপর তাঁর ছেলে করোনা আক্রান্ত হন, ছেলের বউ করোনা আক্রান্ত হন। একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তাহলে কি তাঁর পাপের জন্য ঘটছে, না অভিশাপ?

এভাবে ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি নাম না করেও তাঁর পরিচিত একাধিক ব্যক্তির প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সোশ্যাল মিডিয়াকে ইচ্ছামত ব্যবহার না করতে, এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এরপর ফেসবুক লাইভ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক মদন মিত্র।