এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের 10 হেভিওয়েট নেতার বিপদসংকুল অবস্থা! গুঞ্জন তুঙ্গে

তৃণমূলের 10 হেভিওয়েট নেতার বিপদসংকুল অবস্থা! গুঞ্জন তুঙ্গে

 

এতদিন পৌরসভা নির্বাচনে কিভাবে জেতা যাবে, তা নিয়ে চিন্তা ছিল তৃণমূলের। আর এবার পৌরসভা নির্বাচনের একধাপ পর্ব এগোতেই সেই চিন্তা প্রবল পরিমাণে বৃদ্ধি পেল। তবে এবার জয় নিয়ে আর চিন্তা নেই। এবার চিন্তা টিকিট পাওয়া নিয়ে। আর সেই চিন্তাতেই পড়তে দেখা গেল হুগলির শাসক দলের হেভিওয়েট দশজন নেতা-নেত্রীকে। প্রসঙ্গত, হুগলি পৌরসভায় 13 টি ওয়ার্ড রয়েছে।

কিন্তু শুক্রবারের প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, তিনজন তৃণমূল কাউন্সিলরের ওয়ার্ড ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, অরিন্দম গুইনের তিন নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবের 23 নম্বর ওয়ার্ড এবং আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর 13 নম্বর ওয়ার্ড। তবে এই 3 পৌরসভার চেয়ারম্যানরাই নয়, সংরক্ষণের কোপে পড়তে দেখা গেছে, বৈদ্যবাটির উপ পৌরপ্রধান ব্রহ্মদেশ বিশ্বাস, ডানকুনির উপপৌরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, ভদ্রেশ্বরের উপ পৌরপ্রধান প্রকাশ গোস্বামী, আরামবাগের উপ পৌরপ্রধান রাজেশ চৌধুরীর মত তৃণমূল নেতাদের ওয়ার্ডকে। আর বিশেষ করে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা যে সমস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাদের ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ে যাওয়ায়, এখন তৃণমূলের কপালে তৈরি হয়েছে চিন্তার ভাঁজ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বৈদ্যবাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা দলকে এই বিষয় নিয়ে জানাব। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তিনি দল এবং জেলাশাসককে নিজের আপত্তির কথা জানাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডানকুনি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ গোস্বামী। এদিকে এই ব্যাপারে হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে আসন বিন্যাস হয়। অনেকেই গুজব ছড়ায়। দল প্রয়োজনে কাউকে প্রার্থী করে, আবার কেউ বাদ যান। দল যেটা চাইবে, সেটাই হবে।” তবে এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কিছুটা আপত্তি তুললেও, বিরোধীরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাদের মূল আশঙ্কা, পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাস করবে।

এদিন এই বিষয়ে জেলা সিপিএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কাকে কোথায় প্রার্থী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওরা যে নজিরবিহীন সন্ত্রাস করেছিল, তাতে ঘোর সন্দেহ আছে, পৌরসভা নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির নেতা স্বপন পাল বলেন, “যেভাবে আমাদের জনসমর্থন বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে শাসকদল সন্ত্রাসের রাস্তায় হাঁটবে বলেই আমাদের আশঙ্কা। আসন বিন্যাসের তালিকা নিয়ে আলোচনার পরেই এনিয়ে মুখ খুলব।” তবে বিরোধীরা এই কথা বললেও, তৃণমূলের এখন মূল চিন্তা, তাদের আসন সংরক্ষণ নিয়ে। ফলে এখন তৃণমূলের এই চিন্তা কতটা মেটে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!