এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের লক্ষ্যে তৃণমূলে রদবদল: ক্ষমতায়ন নাকি শুভেন্দুর ডানা ছাঁটা শুরু হল? তীব্র জল্পনা

একুশের লক্ষ্যে তৃণমূলে রদবদল: ক্ষমতায়ন নাকি শুভেন্দুর ডানা ছাঁটা শুরু হল? তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সকাল থেকেই ক্রমশ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল, আজ হয়ত তৃণমূলে বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। এক্ষেত্রে সবার আগে যে নামটি উঠে আসছিল, তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে বিভিন্ন জায়গায় দলকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তেমন ভাবে বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষক এবং মন্ত্রী বাদে তাকে তেমন কোনো জায়গা দেয়নি তৃণমূল। যার ফলে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ বাসা বেধেছে। বর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরে “শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সভাপতি হলে দলের শ্রীবৃদ্ধি হবে” বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুগামীরা দাবি করতে শুরু করেছিলেন।

স্বাভাবিকভাবেই বৃহস্পতিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠক হবে বলে যখন একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সেই জল্পনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, এবার হয়তো তৃণমূলের একদম শীর্ষপদে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যাওয়া হবে। যেহেতু তিনি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, তাই তাকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দল কোনো বিশেষ দায়িত্ব দিতে পারে।

তিনটে থেকে শুরু হওয়া তৃণমূলের এই সাংগঠনিক বৈঠকে প্রায় সকলেরই নজর ছিল। কি হয়, কি হয় এরকম একটা গুঞ্জন চলছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। প্রায় প্রত্যেকেই এক প্রকার ধরে নিয়েছিলেন, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু যখন বৈঠক শেষ হলো এবং খবর এল তখন হতাশা গ্রাস করেছে শুভেন্দুবাবুর অনুগামীদের মধ্যে। জানা গেছে, শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমানে তৃণমূলের যে 7 জন কমিটির সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাকে কোর কমিটির সদস্য করা হলেও, ইতিমধ্যেই বেশকিছু জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। কিন্তু এদিনের বৈঠক থেকে কোনো জেলার কোনো পর্যবেক্ষক রাখা হয়নি। সেদিক থেকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছাটা হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিলে সাফল্য মিলবে বলে অনেকে মনে করলেও, এদিনের এই সিদ্ধান্ত থেকে পরিষ্কার, শুভেন্দু অধিকারীকে কোর কমিটির সদস্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হাত থেকে বিভিন্ন জেলাকে প্রভাব মুক্ত করতে চাইছেন। অর্থাৎ বিভিন্ন সময় শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী “কলকাতার দেখানো পথে রাজনীতি করব না” বলে দলের বিরুদ্ধে অনেক সময় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এহেন শুভেন্দু অধিকারী ভবিষ্যতে যদি একাধিক জেলার দায়িত্ব নিয়ে সেই জেলার অবস্থা বুঝে নেন, তাহলে তিনি যদি দলবদল করেন, তাহলে তৃণমূলের অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতির তৈরি হবে বলেই মনে করেছিল তৃণমূলের একাংশ।

তাই এই পরিস্থিতিতে সাতজনের কোর কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারী থাকলেও, নানা জেলার পর্যবেক্ষক থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে দল যে তার গুরুত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিল, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিতে অত্যন্ত বিচক্ষণ শুভেন্দু অধিকারী দলের এই সূক্ষ্ম কৌশল যে ধরে ফেলেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই দিনভর শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী থেকে শুরু করে তৃণমূলের একটা অংশ তার পদন্নোতির ব্যাপারে আশায় প্রমাদ গুনলেও, তা যে কার্যত ভেস্তে গেল তা বেশ ভালই বুঝতে পারছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এমতাবস্তায় তৃণমূলের আশাপ্রদ কর্মীরা, যারা ভেবেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হবে, তারা তেমনভাবে কোনো খবর না পাওয়ায় তাদের পদক্ষেপ কি হবে, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, দলের কোর কমিটির সদস্য থেকে শুভেন্দু অধিকারী দলের কাজে আরও বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়েন, নাকি নিজের রাজনৈতিক শক্তিকে আরও বিস্তার করতে নতুন কোনো কৌশল গ্রহণ করেন! নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!