এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের একুশে জুলাই আদৌ কি সম্ভব! বিজেপি নেতার কথায় বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূলের একুশে জুলাই আদৌ কি সম্ভব! বিজেপি নেতার কথায় বাড়ছে জল্পনা

বিগত বাম আমলে নো এপিক নো ভোটের দাবিতে রাজপথে নামেন তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতায় মহাকরণ অভিযানে পা মিলিয়েছিলেন অনেক যুব কংগ্রেস কর্মী। আর সেখানেই তৎকালীন বামফ্রন্টের পুলিশের গুলিতে 13 জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

যার পর থেকেই কলকাতার ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহীদ দিবস হিসেবে একুশে জুলাই দিনটি পালন করে আসছেন। এবারেও তার কোনরূপ ব্যতিক্রম হবে না। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিছুটা খারাপ ফল করলেও যাতে সেই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ সার্থক করা যায়, এখন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।

কিন্তু তৃণমূলের এই একুশে জুলাই যাতে সফল না হয়, তার ব্যাপারে পাল্টা কৌশল নিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বস্তুত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল 22 এবং বিজেপি 18 টি আসন দখল করেছে। আর এরপর থেকেই তৃণমূল থেকে একাধিক জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। আর যত দিন যাচ্ছে ততই শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি কেউ কাটমানি খেলে তা তাকে ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এরপরই দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা। যার জেরে প্রবল বিপাকে পড়ে রাজ্যের শাসক দল। আর এবার শাসকের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়ে তৃণমূলের একুশে জুলাই সফল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, কিছুদিন আগেই এই প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, “তৃণমূলের একুশে জুলাই কর্মসূচিতে আসার পথে শাসক দলের নেতাকর্মীদের কাছে কাটমানি ফেরত দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও সংগঠনের তরফে কাটমানি ফেরত চাইতে যাওয়া হবে।”

আর এবার সেই একই কথা বলে তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “যেভাবে চারিদিকে কাটমানি ফেরতের দাবি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে কি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ওই একুশে জুলাইয়ের দিন বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন!”

পাশাপাশি একুশে জুলাই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসার জন্য গাড়িভাড়া পাবেন কিনা, এই ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। কিন্তু হঠাৎ কেন এরকম কৌশলী মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ! এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

তাহলে কি বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি প্রতিধ্বনিই শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায়! অনেকে বলছেন, তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের পাল্টা সেদিন হয়ত বিভিন্ন জেলা ও শহর থেকে আসা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কাটমানি ফেরতের দাবিতে তাদের পথেই আটকে দিতে পারে বিজেপি। আর তাই তো এই ব্যাপারে সতর্কতামূলক বাণী শোনাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের।

তবে তৃণমূলের দাবি, এই সমস্ত কিছু করে তাদের আটকানো যাবে না। রাজনৈতিক ভাবেই তারা বিজেপির মোকাবিলা করবে। সব মিলিয়ে এবার তৃনমূলের 21 শে জুলাই শহীদ দিবস সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় যোগ দিতে যাওয়া শাসকদলের নেতা কর্মীদের আটকে দিতে বিজেপির তরফে কোনও কৌশল নেওয়া হয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!