এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের একঝাঁক বিক্ষুব্ধের গোপন বৈঠক! আজ নিতে পারেন বড়সড় পদক্ষেপ! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূলের একঝাঁক বিক্ষুব্ধের গোপন বৈঠক! আজ নিতে পারেন বড়সড় পদক্ষেপ! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিতে চলেছেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলররা। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান অথবা মেয়রকে প্রশাসক মন্ডলীর মাথায় বসিয়ে বোর্ড গঠন করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই বোর্ড নিয়ে বিরোধীদের যেমন আপত্তি রয়েছে, ঠিক তেমনই আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার। কেননা প্রায় প্রতি জায়গাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে।

সেদিক থেকে বোর্ডে যাঁরা জায়গা পাচ্ছে, তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে মালদহের ইংরেজবাজার পৌরসভার বর্তমান প্রশাসকমন্ডলীর বোর্ডকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে খবর পাওয়া গেল।

সূত্রের খবর, বর্তমান বোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ইংরেজবাজার পৌরসভাতেই ধর্নায় বসতে পারে তৃণমূলের একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলার। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইংলিশবাজারের নেতাজি মোড়ের একটি বেসরকারি হোটেলে বেশকিছু প্রাক্তন কাউন্সিলরদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। যেখানে 8 জন সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিলার এবং দুই প্রাক্তন কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

তবে আরও তিনজন প্রাক্তন কাউন্সিলর সেই বৈঠকে না থাকলেও, তারা বিক্ষুব্ধদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা জানিয়েছেন। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এই বৈঠকের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সমস্ত বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরকে বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর বিরুদ্ধে এককাট্টা করে বিক্ষোভে সামিল হতে চাইছেন‌ বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহের ইংরেজবাজারে প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে বর্তমান প্রশাসন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের সম্পর্কের তিক্ততা সকলেরই জানা। বিভিন্ন সময়ে নীহারবাবুর সঙ্গে কৃষ্ণেন্দুবাবুর গন্ডগোল প্রকাশ্যে এসেছে‌। আর এই পরিস্থিতিতে এবার প্রশাসকমন্ডলীর মাথায় যখন নীহার রঞ্জন ঘোষ, ঠিক তখনই তার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে তৃণমূলের একঝাঁক কাউন্সিলার এককাট্টা হয়ে যদি পৌরসভায় বিক্ষোভ করেন, তাহলে শাসকদলের বিড়ম্বনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মধ্যে এই গোপন বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি। পৌর এলাকার বাসিন্দারা তাদের চাহিদা বা দাবি আমাদের কাছে এসে বলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা প্রাক্তন কাউন্সিলর। একজন প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি প্রশাসক মন্ডলী পৌরসভা পরিচালনা করছে। কিন্তু নিকাশি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কি করনীয়, তা আলোচনা করতেই প্রাক্তন কাউন্সিলরদের অনেকে বৈঠকে বসেছিলেন।” কিন্তু তারা তো তৃণমূলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলার!

সেদিক থেকে প্রশাসক মন্ডলীর সাথে আলোচনা করে তারা তো সমস্যা মিটিয়েই নিতে পারেন! কিন্তু কেন এভাবে পৃথকভাবে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর বৈঠক করলেন! এখন তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। যদিও বা এই ব্যাপারে প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, “প্রশাসক হিসেবে নীহারবাবুর উপর রাজ্য সরকার আস্থা রেখেছে। তবে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের কিভাবে পৌরসভার কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জানতে চাইব। প্রাক্তন কাউন্সিলররা অভিযোগ জানাতেই পারেন। তবে ভুলে গেলে চলবে না, তাদের আমলেও সমস্যা ছিল।

টেন্ডার হয়েছে। নর্দমা সাফাইয়ের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।” তবে এতসব সত্ত্বেও এখন গোটা মালদহ জেলা জুড়ে একটাই গুঞ্জন চলছে যে, প্রাক্তন কাউন্সিলাররা বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের বিরুদ্ধে যেভাবে এককাট্টা হয়ে বৈঠক করলেন, তাতে যদি তারা প্রকাশ্যে এই বোর্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হন, তাহলে তৃণমূলের সমস্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। একদিকে যেমন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসবে, ঠিক তেমনই বিরোধীরা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের হাতে নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!