শুধু তৃণমূল নেতাই নয়, এবার আমপানের টাকা ঢুকছে প্রভাবশালী বিজেপি নেতাদের অ্যাকাউন্টেও! কলকাতা রাজ্য June 19, 2020 ভয়াবহ দুর্যোগে অনেক মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত মানুষদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে যে, তৃণমূলের নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকায় তাদের ঘনিষ্ঠ এবং নিজেদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন। বাড়ির কোনো ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও, এভাবে তৃণমূল নেতাদের স্বজনপোষণ প্রকাশ্যে চলে আসায় তা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বিজেপিকে। কিন্তু এবার এক বিজেপি নেতার অ্যাকাউন্টে ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার টাকা চলে যাওয়ায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হল। জানা গেছে, তৃণমূল পরিচালিত সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন সদস্য এবং আত্মীয়দের নাম ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমপানে ক্ষতিপূরণের প্রাপকের তালিকা তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আর্থিক সাহায্য পেয়ে যান বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এমনকি গোটা বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এই ঘটনায় এক বিজেপি নেতার দুর্নীতিও প্রকাশ্যে চলে আসায় তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও যে চরম অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অলক কোলে বলেন, “তৃণমূল এবং বিজেপি দুইদলের যোগসাজশেই যে ক্ষতিপূরণের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা চলছে, তা তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা বেশিরভাগই বঞ্চিত হলেন। আমরা এর তদন্ত চেয়ে ব্লক অফিসে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি হলেন বিজেপি শাসিত মানিকপুর পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত বিরোধী দলনেতা মহেন্দ্র চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, “আমি কোথাও কোনো আবেদন করিনি। জানতামই না যে এই তালিকায় নাম আছে। পরে কানাঘুষো জানতে পারি। আমি ব্লক অফিসে গিয়ে বলি ঘরে বসে তালিকা করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নামই তালিকায় রাখা উচিত।” যদিও বা তালিকা নিয়ে এত প্রশ্ন ওঠার পরে কিছুটা চাপে পরেছে পঞ্চায়েত সমিতি। এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “কথামতো ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের নামের তালিকা দেয় পঞ্চায়েতগুলো। পরে ক্ষতিগ্রস্তরা নিজের অফিসে দরখাস্ত জমা দেন। সবকিছু মিলিয়ে তালিকা তৈরি হয়। যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে বহু অভিযোগ উঠেছে। ঝাড়াই-বাছাই করে নতুন তালিকা তৈরি করে জেলা শাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেটাই চূড়ান্ত তালিকা।” তবে যে যাই বলুন না কেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ তৃনমূলেরর বিরুদ্ধে উঠেছিল, তাতে চাপে পড়েছিল শাসক দল। এমনকি মানুষ এই ব্যাপারে বিজেপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও বিজেপির দিকে যেতে শুরু করেছিল। কিন্তু এভাবে বিজেপি নেতার অ্যাকাউন্টেও ক্ষতিপূরণের টাকা চলে গেল, তাতে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই ক্রমশ চাপে পড়ল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -