এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > আমপান থেকে ১০০ দিনের কাজ – প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে বড়সড় তোলাবাজির অভিযোগ, বাড়ছে অস্বস্তি

আমপান থেকে ১০০ দিনের কাজ – প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে বড়সড় তোলাবাজির অভিযোগ, বাড়ছে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তোলাবাজি, কাটমানি, মানুষের ঘরের টাকা আত্মসাৎ করা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এখন এই সমস্ত অভিযোগ রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, তার জন্য দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষের সামনে আনতে এখন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আশা করা হয়েছিল, এর ফলে দুর্নীতি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু তা তো হলই না, এবার শাসকদলের এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হলদিয়াতে। সূত্রের খবর, হলদিয়া রিফাইনারির ঠিকা শ্রমিকরা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির অন্যতম নেতা সত্যরঞ্জন সাহুর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে শ্রমদপ্তর এবং হলদিয়া মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে একটি অভিযোগ জানিয়েছেন। যেখানে তারা তৃণমূলের শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, করোনা ভাইরাসের কারণে এপ্রিল মাসের ঠিকা শ্রমিকদের একদিনের হাজিরার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের নাম করে তাদের কাছ থেকে একদিনের হাজিরা বাবর চাঁদা হিসেবে বলপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের সেই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে।

আর শ্রমিকদের টাকা এভাবে আত্মসাৎ করার জন্য তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এই নেতার বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে শ্রমিকরা অভিযোগ জানানোয় তৃনমূল যে ব্যাপক চাপে পড়ল, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে শ্রমিকদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পাল্টা ময়দানে নেমে তৃণমূলকে চেপে ধরার প্রয়াস শুরু হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলি বলেন, “যতগুলো শিল্প সংস্থা রয়েছে হলদিয়ায়, প্রত্যেকটির কেটে তৃণমূলের নেতারা তোলাবাজি করে চলেছেন। শ্রমিকরা কাজ হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। কিন্তু তারা ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, “টাকা নিলে রসিদ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। এক্ষেত্রে কি হয়েছে, খতিয়ে দেখে মন্তব্য করব।” আর বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এবার কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সত্যশঙ্কর সাহু। তাহলে কি শ্রমিকদের তোলা এই অভিযোগ সত্যি? কিন্তু কেন তিনি এভাবে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সত্যশঙ্করবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে করোনা ও আমপানের জন্য শ্রমিকদের থেকে চার লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে একথা ঠিক যে, ওই শ্রমিকদের টাকা নিয়ে তাদের কোনো রকম রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। তবে তোলাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়। সংগঠনের সদস্যদের মতামত নিয়েই টাকা তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রমিকদের অনুদান ঠিকাদার মারফত ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। নগদে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।”

কিন্তু শ্রমিকরা যেভাবে এই ব্যাপারে মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাতে গোটা ঘটনায় যে এই তৃণমূল নেতা ব্যাপক চাপে পড়বে এবং এর প্রভাব পড়বে যে শাসকদলের অন্দরমহলে, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এটাও একপ্রকার নিশ্চিত যে, যেভাবে টাকা তোলা হয়েছে, তা কার্যত বেআইনি। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তৃণমূল নেতার কোনো শাস্তি হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!