এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃনমূলকে চাপে রাখতে অভিনব কৌশল অর্জুন সিংয়ের, জেনে নিন বিস্তারিত

তৃনমূলকে চাপে রাখতে অভিনব কৌশল অর্জুন সিংয়ের, জেনে নিন বিস্তারিত


ভাটপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক, একসময় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অর্জুন সিংহ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সাংসদ পদপ্রার্থী নিয়ে মতানৈক্যের কারণে 2019 সালের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তরীয় গলায় পড়ে নেন। এরপরে গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ব্যারাকপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। নির্বাচনে জয়যুক্তও হন এই তৃণমূলত্যাগী বিধায়ক।

শুধু নিজেই জয় যুক্ত হননি তার ছেড়ে দেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়যুক্ত হন তার পুত্র। তাই ভাটপাড়া এলাকায় কথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তিনি একজন মাইলস্টোন হিসেবে সংগঠনের প্রচার, প্রসার করতে অনেক আগেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। তার হাত ধরে ভাটপাড়া থেকে কাঁচরাপাড়া এবং আশেপাশের অনেক পৌরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

এবার তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনসংযোগের নতুন উপায় আবিষ্কার করলেন ব্যারাকপুরে সাংসদ অর্জুন সিংহ। গোটা রাজ্যে যখন জনসংযোগের জন্য তৃণমূল “দিদিকে বলো” কর্মসূচি বেছে নিয়েছেন, সেইখানে নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে হাতিয়ার করে “হাত বাড়ালেই বন্ধু” নামক একটি মোবাইল অ্যাপ প্রকাশ করলেন অর্জুনবাবু।

কিন্তু এটাকে “দিদিকে বলো” কর্মসূচির পাল্টা বলতে নারাজ অর্জুন সিংহ। এদিন ব্যারাকপুরের সুকান্ত সদনে একটি অনুষ্ঠানে অর্জুন সিংহ অভিযোগ করে বলেন, “গত 10 বছরে প্রাক্তন সাংসদকে হাত বাড়ালে পাওয়া তো দূরের কথা, বাড়িতে গেলেও পাওয়া যেত না।” মোদিজীর ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, জনগণের সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, অভিযোগ গেলে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনীয় অভিযোগকারী একেবারে কাছে এমনকি বাড়িতে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে আশাবাদী এই বিজেপি সাংসদ। তবে সমস্যার সমাধান না হলেও মানুষের পাশে দাঁড়ানো তিনি কখনই ছাড়বেন না।

অ্যাপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এই অ্যাপ থেকে সাংসদদের প্রতি দিনের কর্মসূচির পাশাপাশি সংসদ তহবিলের টাকা কোথায়, কিভাবে খরচ করা হচ্ছে তা জানা যাবে। তবে এদিন তৃণমূলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অর্জুন সিংহ। তিনি বলেছেন, “দিদিকে বলে আর কি হবে! সব জায়গায় কাটমানি দিতে হচ্ছে। দিদিকে বললে মানি দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।”

আর অর্জুনবাবুর এই মন্তব্যকে ঘিরে এখন সরগরম ব্যারাকপুর তথা ভাটপাড়ার রাজনৈতিক পরিবেশ। ইতিপূর্বে বহুবার ভাটপাড়া, ব্যারাকপুরকে কেন্দ্র করে চরমে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। এমনকি আসরে আনতে হয়েছে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাই এখন ভাটপাড়ার সকল ঘটনার দিকেই নজর থাকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু এই হাত বাড়ালেই বন্ধু অ্যাপের মাধ্যমে অর্জুন সিংহ যে প্রচার ও প্রসারের একটি নতুন মাধ্যম আবিষ্কার করে ফেলেছেন, সেই বিষয়ে একমত অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!