এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > চিন্তা বাড়িয়ে বড়সড় বিদ্রোহ বর্ধমানে – গণ ইস্তফা ব্লক, অঞ্চল সভাপতি সহ সমস্ত সদস্যের, অস্বস্তিতে শাসকদল

চিন্তা বাড়িয়ে বড়সড় বিদ্রোহ বর্ধমানে – গণ ইস্তফা ব্লক, অঞ্চল সভাপতি সহ সমস্ত সদস্যের, অস্বস্তিতে শাসকদল

এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় ছাত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন সভাপতি সহ 300 জন সদস্যের ইস্তফায় বড়সড় অস্বস্তিতে বর্ধমানের শাসক দল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জেলায় প্রশাসনিক সভা করছেন ঠিক তখনই সেই শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ইস্তফা রাজনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরকে। ঠিক কি কারণে তাদের ইস্তফা?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ধমানের পূর্বস্থলী কলেজের শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের এক অতিথি অধ্যাপককে বহিষ্কারের দাবি নিয়ে গত 27 নভেম্বর থেকে সেই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্রসংসদের একাধিক সদস্যরা ক্লাস বয়কট করে বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এক আন্দোলনে নামে।

এদিকে ছাত্রসংগঠনের সদস্যদের এহেন আন্দোলনে চাপে পড়ে গত 26 শে নভেম্বর এই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আর এরপরই গত মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করে সেই ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ অধ্যক্ষ বিভাস সাহার ঘরের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় ব্যস্ত থাকায় এই শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপককে না সরানোর জেরেই নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাধিক সদস্যরা। যার মধ্যে ছিলেন বর্ধমান পূর্বস্থলী কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি জমির মণ্ডল ,সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হারা সহ 12 জন কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সদস্য।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তারা তাদের ইস্তফাপত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য, পূর্বস্থলী উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বদরুল আলিমের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমান পূর্বস্থলী কলেজের অধ্যক্ষ বিভাস সাহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি ব্যস্ত আছেন। তার ব্যস্ততা কাটার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করব।”

অন্যদিকে এই অতিথি অধ্যাপককে বহিস্কার করার তার যে কোনো এক্তিয়ার নেই এদিন তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ কেন তারা ইস্তফা দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পূর্বস্থলী 2 ব্লক সভাপতি রতন ঘোষাল বলেন, “ব্যক্তিগত কারণেই ইস্তফা।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কলেজের শিক্ষাবিজ্ঞানের যে অতিথি অধ্যাপককে সরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এবং যা নিয়ে তারা ইস্তফা দিলেন, সেই শিক্ষককে সরানোর ব্যাপারে মূল ভূমিকা নেওয়ার কথা কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের। ফলে তপনবাবু এখন এই ব্যাপারে ঠিক কোন দৃষ্টিভঙ্গি নেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!