এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে এবার তৃণমূলের নাম জড়ালো – সৌজন্যে বিজেপি নেতা

ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে এবার তৃণমূলের নাম জড়ালো – সৌজন্যে বিজেপি নেতা

রবিবার সন্ধেয় কালনার সাতগাছি পঞ্চায়েতের শাসপুর এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় যোগদান কলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। এদিনের সভা থেকে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিক্রির ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে এক হাত নিলেন এই বিজেপি নেতা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটু ভাষায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এবার পচা মাংস খাইয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছেন। হায় রে মমতা, শেষে বাংলার মানুষকে ভাগাড়ের পচা মাংস খাইয়েও ছাড়লেন।” উল্লেখ্য ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভার তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার হোটেল ও রেস্তরাঁয় অভিযান চালানো হয়। যদিও পুর কর্মীদের তল্লাশিতে কোনো ভরসা নেই এই বিজেপি নেতার।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তাই আত্মবিশ্বাসী স্বরে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ” পৌরসভা যায় আর পরীক্ষা করে। আর খবর বেরোয়, মাংসের এই দোকান সিল করেছে, ওই দোকানের নমুনা নিয়েছে। “এখন পর্যন্ত একটাও নমুনা রিপোর্ট বেরোয়নি। রিপোর্ট বেরোবে কেন ? সেটিং হয়ে যাবে।” বলেও দাবি করেন তিনি সাথে তিনি আরো যোগ করে বলেন যে, যেমন পচা মাংস মানুষ খাচ্ছিলেন, তেমনি ভাগাড়ে আবার মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি তৃণমূল সরকারকে টাকা চেনা সরকার বলেও অভিযোগ করেন তিনি বলেন, “শুধু টাকা খাওয়ার খেলা। হোটেলের সঙ্গে সেটিং হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পয়সা উঠে যাবে। এ সরকার টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। তাই এই সরকারের পরিবর্তনের প্রথম কাজ পঞ্চায়েত থেকে শুরু করুন।” তিনি রাজ্যের শাসক দলের নেতা নেত্রীই নয় প্রশাসনিক কর্তাদেরও আক্রমন করতে পিছপা হন নি এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “এত উন্নয়ন সত্ত্বেও বিডিও- এসডিও অফিসে এত সন্ত্রাস কী কারণে করছে তৃণমূল? শাসকদলের মধ্যে টিকিট নিয়ে সিংহের মাংস লুট চলছে। থানা থেকে প্রার্থী ঠিক করতে হচ্ছে।” এদিনের নির্বাচনী প্রচারে দলের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, “যা দিচ্ছে তাই নিন পদ্মফুলে ভোট দিন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!