এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাসকদলের উপর বড়সড় অভিযোগ এনে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, জেনে নিন বিস্তারিত

শাসকদলের উপর বড়সড় অভিযোগ এনে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, জেনে নিন বিস্তারিত


ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। রথযাত্রা নিয়ে আইনি লড়াই শেষ হওয়ার মাসখানেক কাটতে না কাটতেই আবার রাজ্যরাজনীতিতে চাঞ্চল্য ফেলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল বিজেপি। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও পঞ্চায়েত বোর্ড চালাতে দেওয়া হচ্ছে না বিজেপিকে।

এই অভিযোগ তুলেই বিজেপির আটজন বিজয়ী প্রার্থী তৃণমূলের দ্বারস্থ হলেন। কাল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। আগামী সপ্তাহে শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

মামলার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রঘুনাথপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত মঙ্গলদা-মৌতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টি আসনের মধ্যে ৯ টি আসনে জয় পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজেপি। এছাড়া সিপিআইএম ও তৃণমূল যথাক্রমে ১ টি এবং ২ টি আসন পেয়ে পিছিয়ে পড়ে।

এরপরে বিজেপি থেকে একজন প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেও এগিয়ে থাকে বিজেপি। এরপর গতবছর ২৭ আগষ্ট ওই সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ডগঠনের সিদ্ধান্ত নেন বিডিও। পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের জন্যে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীরা নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পঞ্চায়েত অফিসে যান।

কিন্তু আচমকাই বহিরাগত কিছু গুন্ডারা পঞ্চায়েত অফিস হামলা করে। কম্পিউটার সহ অন্যান্য জিনিস ভাঙচুর করে সভা ভন্ডুল করে যায়। এবং যাওয়ার সময় হুঁশিয়ারীও দিয়ে যায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপিকে তাঁরা কিছুতেই বোর্ডগঠন করতে দেবে না। এই ঘটনার কথা বিস্তারে জানিয়ে পরেরদিনই থানায় এফআইআর দায়ের করে রঘুনাথপুর ব্লক-২ এর প্রিজাইডিং অফিসার।

অন্যদিকে,পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় ৫ ডিসেম্বর নাগাদ ফের নোটিশ দিয়ে বিজয়ী প্রার্থীদের অফিসে আসতে বলেন বিডিও। নির্বাচনের জন্য ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলদা-মৌতোড় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে সব প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু, ৮ ডিসেম্বর BDO-কে চিঠি দিয়ে জেলাশাসক জানান, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনো মিটিং করা যাবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলাশাসকের এই ফতোয়া জারির পর অনেকদিন কেটে গেলেও তারপর আর প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি। এরইমধ্যে,তৃণমূলে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে প্রধান এবং একজনকে উপপ্রধান ঠিক করে নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে শাসকদল। এটা দেখেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীদের। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।

সেইমতোই বেশি আসনে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের বোর্ড চালাতে দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে বিজেপির ৮ জন বিজয়ী প্রার্থী তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা রজু করলেন। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউরি জানান, “যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তারা পঞ্চায়েত বোর্ড চালাতে পারছে না। বেআইনিভাবে প্রধান নিয়োগ করা হয়েছে। শাসকদলের বিজয়ী প্রার্থী সুরজিৎ চক্রবর্তী (বুবাই) এখন প্রধান হিসেবে কাজ করছে।”

উল্লেখ্য,এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল শাসকদল কতোটা বিজেপির চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই যেন তৃণমূলের বিজেপি বিদ্বেষী রূপ আরো প্রকট হচ্ছে। প্রচারমূলক সভা হোক বা রথযাত্রা কিংবা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন এ রাজ্যে কোনকিছুই সুষ্ঠুভাবে বিজেপিকে করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। শাসকদল বুঝিয়েই দিচ্ছে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে বিজেপির কোনো জায়গা নেই।

এ নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বরা দফায় দফায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেও আইনি লড়াইয়ে জিতে তৃণমূলকে নিজেদের দাপট বুঝিয়ে দিতে চায় বিজেপি। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও রথযাত্রার দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি হার হয়েছে বিজেপি। তাতে মনোবলে আঘাত লাগলেও ফের উঠে দাঁড়িয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে বিজেপি। এবারের হাইকোর্টের লড়াইয়ে বিজেপি জেতে কিনা এখন সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!