কদিন আগেই অসমে নাগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে 40 লক্ষ মানুষ। যার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই বিজেপির আশঙ্কা যে, অসমের এই পরিস্থিতির জেরে বাংলায় ঘটি বাঙালের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হিন্দু ভোট বিভাজন করতে পারে তৃনমূল।

আর তাই শনিবার দলের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তৃনমূলের সেই পরিকল্পনাকে আটকাতে হিন্দুদের পাশে আরও বেশি করে দাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর,  এদিন সকালে দলের জাতীয় গ্রন্থাগারের বৈঠকে দলীয় কর্মীদের এনআরসির আইনি সংক্রান্ত বিষয়গুলি বোঝান এই বিজেপি নেতা। এমনকী পরবর্তীতে এনআরসির পক্ষে তথ্যমূলক বক্তব্য তুলে ধরে এই বিষয়গুলি সামনে এনে তৃনমূলকে ঠেকানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “এনআরসি নিয়ে কেউ উদ্বিগ্ন হবেন না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধ রেশন কার্ড দিয়ে একটি ভোট ব্যাঙ্কে করার অভিযোগ তুলে সংসদে আলোচনা চাইলে সেই আলোচনা গ্রহন না হলে ডেপুটি স্পিকারের দিকে ফাইল ছুড়েছিলেন।

এদিন সেই ভিডিও সাংবাদিদের দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ” আমরা মনে করি এদেশে আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আর এই দেশের যারা সংখ্যাগুরু তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখানো হচ্ছে।” যদিও এই বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এনআরসি ইস্যুকে নিয়ে তৃনমূলের প্রতিবাদে বিজেপির সেই হিন্দু ভোট ভাগ হয়ে যেতে পারে। আর তাই সে আশঙ্কা করে তৃনমূলকে চাপে রাখতে মরিয়া  বিজেপির নেতারা।