এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সাতদিনেই দল “শুদ্ধ ও পবিত্র” করে “বখাটে ছেলেদের” নিয়ে আগামী দিনে চলার অঙ্গীর তৃণমূল নেত্রীর

সাতদিনেই দল “শুদ্ধ ও পবিত্র” করে “বখাটে ছেলেদের” নিয়ে আগামী দিনে চলার অঙ্গীর তৃণমূল নেত্রীর


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অত্যন্ত খারাপ ফলাফল এবং বিজেপির প্রবল উত্থানে এখন দলকে নিজের ছন্দে নিয়ে আসাই প্রধান চ্যালেঞ্জ তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বস্তুত, এবারে বঙ্গ বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটের চূড়ান্ত গেমপ্ল্যান তৈরি করেছিলেন একদা তৃণমূল নেত্রীর অন্যতম প্রিয় সৈনিক হিসেবে পরিচিত বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আর এবার ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর সেই মুকুল রায়ের গড়ে এসেই সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কিছুদিন আগে নৈহাটিতে সভা করতে আসার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি লক্ষ্য করে যেভাবে যুবকেরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন এবং তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে এসে তাদের ধমকেছিলেন, তাতে এবারও তিনি সড়কপথেই আসবেন কিনা, তা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা ধন্দ্ব ছিল।

তবে শেষ পর্যন্ত সড়ক পথের পরিবর্তে হেলিকপ্টার করে কল্যাণীর কাছে নেমে গাড়ি করে সভাস্থলে আসেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। বাগমোড় দিয়ে কিছুটা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় এগিয়ে যেতেই কিছু যুবক জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকে। তবে এবার আর মুখ্যমন্ত্রী তার কনভয় থেকে নামেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সভাস্থলে পৌছেই এদিন দলের শুদ্ধিকরণে একাধিক বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে মুকুল রায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কাঁচরাপাড়ায় ছোটখাটো ঠিকাদারি করত। এখন দুবাই, থাইল্যান্ড ব্যাংককে যায়। আবুদা কাঁচরাপাড়ার এক নম্বর নেতা ছিল। তার মেন্টর ছিল। তার দুর্ঘটনা হয়েছিল। দুর্ঘটনা হয়েছিল নাকি ঘটানো হয়েছিল! দলের অনেকেই গদ্দারদের সম্পর্কে আমাকে সতর্ক করেছিল, আমি বিশ্বাস করিনি। তার জন্য আমি সকলের কাছে আজকে ক্ষমা চাইছি।”

অন্যদিকে ভাটপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমানে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধেও এদিন গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একজন তো শুনছি দাতাকর্ণ হয়ে ক্লাবে, মহল্লায় টাকা বিলিয়ে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানে। বাংলায় আমরা কোনভাবেই বিভাজনের রাজনীতি করতে দেব না। আমরা চাই এখানে সকলে শান্তিতে থাকুক।”

এদিকে এরপরই বখাটে ছেলেদের দলে আসার জন্য আহ্বান জানাতে শোনা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যার যেখানে যাওয়ার ইচ্ছে চলে যাক। সাত দিন সময় দিলাম। এতে দলটা শুদ্ধ হবে, পবিত্র হবে। গরিব ছেলে মেয়েরা অনেকে আছে, যারা পড়তে পারে না, চাকরি নেই। তাদের দলে নিয়ে এসে কাজ করানো হবে। আমরা চাই পাড়ার বখাটে ছেলে মেয়েরা চলে আসুক। তারা দলের কাজ করুক। কোথাও না কোথাও আমরা তাদের ঢুকিয়ে দেব।”

এদিকে বখাটে ছেলে মেয়েদের দলে আনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, পরাজয়ের পরেও শোধরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো রকে বসা ছেলেদের দলে আনার কথা বলে তার দলটা ঠিক কি রকম, তা আগেভাগেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনাথ ছেলে, মেয়ে ছাত্র যৌবনদের দলে আসার কথা বলেছেন। ছাত্র, যৌবনরা যদি সমাজের নেতৃত্বদানের জন্য উঠে আসে তাহলে এতে দোষের কিসের! তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলকে দাঁড় করাতে গেলে যে শুদ্ধিকরণ দরকার তা ভালোই বুঝেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পাড়ার বখাটে ছেলে মেয়েদের দলে আনার কথা বলে তিনি কি ফের বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন না! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!