এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল, জেনে নিন কারণ কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 18, 2019 নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী নদীয়া জেলার অন্তর্গত করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে এখন সরগরম রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, বিগত বাম আমলে অনিল বিশ্বাসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই করিমপুর বিধানসভা একসময় সিপিএম নিজেদের দখলে রাখলেও বিগত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে প্রথম ডানপন্থী দল অর্থ্যাৎ তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু এবার 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সেই করিমপুর বিধানসভার বিধায়িকা মহুয়া মৈত্রকে তৃণমূলের প্রার্থী করা এবং মহুয়াদেবীর জয়লাভ করায় করিমপুর বিধানসভা আসনটি শূন্য হয়ে গিয়েছে। ফলে এবার সেখানে বিধানসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও কে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। ইতিমধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে এখানে একাধিক নাম ভেসে উঠতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যার মধ্যে রয়েছে পেশায় আইনজীবী তেহট্টের জুলফিকার আলী খানের নামও।এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দল করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই রাজনীতিতে এসেছি। তাই নেত্রী যদি লড়াইয়ের জন্য আশীর্বাদ করেন, তাহলে আমি চেষ্টা করব।” বস্তুত, এই করিমপুর বিধানসভায় মোট ভোটার রয়েছে প্রায় 2 লক্ষ 40 হাজারের মত। বিগত লোকসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল 87 হাজার 513, বিজেপি 73 হাজার 173, কংগ্রেস 22 হাজার 97 এবং সিপিএম 17 হাজার 609 টি ভোট পেয়েছিল। পরবর্তীতে 2016 বিধানসভায় এখানকার বাম প্রার্থীকে প্রায় 16 হাজারের মতো ভোটে পরাজিত করে জয়লাভ করেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। কিন্তু গত বিধানসভায় বিজেপি যত ভোট পেয়েছিল তার থেকেও এবার বিজেপির ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় রাম এবং বামের আতাতের কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন অনেকেই। সাথেই কাকে প্রার্থী করলে রাম-বামের ভোট কেটে জয় নিয়ে আসবে সেই মুখ নিয়েই বড়সড় চিন্তায় শাসকদল। আর সেই দিক থেকে এখন করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হলে এখানে তৃণমূলের ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ করা হয়েছে শাসকদলের কপালে। আপনার মতামত জানান -