তৃণমূলের হয়ে কাজ করা বড়বাবু-মেজবাবুদের গোপন তালিকা তৈরির নির্দেশ, কমিশনে ঝড় তুলতে চলেছেন অমিত শাহ কলকাতা জাতীয় রাজ্য March 17, 2019 এবার পক্ষপাতদুষ্ঠ আইএএস-আইপিএস নয় স্থানীয় থানার ওসি-আইসি’রাও এবার বিজেপির গোপন তালিকায় চলে এসেছে। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা গোপন বার্তা দিয়ে সমস্ত জেলা সভাপতিদের জানিয়েছেন,সাম্প্রতিক কালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা ওসি-আইসিদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। শুধু তাই নয়,গত কয়েকবছরে মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মীদের বিনা কারণে হেনস্তা করেছিল যেসব পুলিশ অফিসাররা,তাদের বিস্তারিত বিবরণ জানাতে বলা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই তালিকা প্রস্তুত করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশেই এই তালিকা তৈরি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে প্রশাসন। এসব সন্দেহভাজন পুলিশ অফিসারদের চিহ্নিত করার পর তাঁদের নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অপসারণ করে নিরপেক্ষ অফিসারদের বসানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসবের পাশাপাশি জেলা সভাপতিদের প্রতিটি বুথেী গ্রেডেশন ভিত্তিক তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়ে বুথগুলিকে এ,বি,সি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে। যেসব বুথে বিজেপির ৫০ জনের বেশি কর্মী রয়েছে সেই বুথকে এ গ্রেডে রাখা হয়েছে। বি-গ্রেডে রাখা হয়েছে ৫০ জনের বেশি কিন্তু ২০ জনের বেশি কর্মী বিশিষ্ট বুথকে। আর সি-গ্রেডে রয়েছে এমন সব বুথ যেখানে বিজেপি কর্মীর সংখ্যা ২০ জনেরও কম। এই গ্রেডেশন ভিত্তিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অপেক্ষাকৃত দূর্বল বুথগুলিতে বিজেপি কর্মীদের বিকল্পভাবে লড়াই করার বিশেষ রণকৌশল দেওয়া হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভিত্তিক ভোটের দায়িত্ব বিশেষ একটি টিমকে দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। এবং এঁদের কাছে ভোট পরিচালনা র দায়িত্বে থাকা পুলিশ পর্যবেক্ষক,এক্সপেন্ডিচার অবজারভার সহ একাধিক কর্তার মোবাইল নম্বর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভোট চলাকালীন কোনো সন্দেহের কোনো কারণ উঠে এলেই তা তৎক্ষনাৎ পর্যবেক্ষকদের ফোন করে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত,এক বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জানালেন, গত তিনবছরে কোলকাতা সহ জেলার অসংখ্য থানার ওসি-আইসি’রা তৃণমূল সরকারের কথামতো টাকা তোলা এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হেনস্তা করে নিজেদের সরকারি চাকরি হারিয়েছেন। গোটা বিষয়টিই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে দাবী করে ওই বিজেপি নেতা জানালেন,’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, এবারের লোকসভা ভোটে বাংলার মানুষ যাতে নিজেদের ভোট নিজেরাই দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ করা হবে। সেই মতো রাজ্যে সাত দফায় ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় এক মাস আগে থেকে ভোটারদের মনে আস্থা জোগাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি আরো জানালেন,এবার বিজেপির জেলা সভাপতিদের মূল কাজ হল তৃণমূলের হয়ে কাজ করা পক্ষপাতদুষ্ট ওসি-আইসিদের চিহ্নিত করা। এদেরকে সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের এনে ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চালানোকেই পাখির চোখ করা হল। আপনার মতামত জানান -