ছাত্রনেতাকে নগ্ন করে হেনস্থা করায় তৃণমূলের উপর নতুন করে চাপ বাড়াল কংগ্রেস রাজ্য June 5, 2018 সোমবার বিকেলে আমর্হাস্ট স্ট্রিট মোড়ে কলেজ ছাত্রের নগ্ন ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। জানা যাচ্ছে সেন্ট পলস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ঐ ছাত্র মদ্যপানের প্রতিবাদ করে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে কলেজের কমনরুমে নগ্ন করে ভিডিও করা হয় আর তারপরে গত শনিবার সোস্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও আপলোড করা হলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদে সামিল হয় ছাত্র ও যুব সঙ্গগঠনগুলি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এই ঘটনায় প্রাক্তনী ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানতে পেরে উদ্বেগ করেন এবং তাঁর নির্দেশে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনন্ত প্রামাণিক (অস্থায়ী কর্মী), অভিজিত্ দলুই (দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র), শেখ এনামূল হক (বহিরাগত) ও অর্ণব ঘোষ (বহিরাগত)-এর বিরুদ্ধে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। নির্যাতিত ঐ ছাত্রের বয়ান অনুসারে গত ১৭ ই মে সন্ধ্যার পর কলেজে মদের আসর বসেছিল। বহিরাগত ও প্রাক্তনীদের মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় তাঁকে নগ্ন করে হেনস্থা করা হয়। শুধু তাই নয়। হেনস্থার ভিডিও মোবাইলে তুলে তা ভাইরাল করা হয়। এরপরে সে লজ্জায় ও ভয়ে কলেজে আসাই বন্ধ করে দেয়। এরপরে গত শনিবার কলেজে গিয়ে সে অন্যান্য সহপাঠীদের বিষয়টি জানালে মুহূর্তের মধ্যে কলেজ চত্ত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কলেজে এতো বড় ঘটনা কী করে সকলের নজর এড়িয়ে গেলো? কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীরাই বা সেই সময়ে কী করছিলেন? পুলিশ এই বিষয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও নির্যাতিত ছাত্রের জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। ন্যক্কারজনক এই ঘটনা প্রসঙ্গে ছাত্র পরিষদের কলকাতা জেলার সভাপতি অর্ঘ্য গণ বললেন, “কলেজে কলেজে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। যারা যারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাঁর সমস্ত দায় ঝেড়ে ফেলছেন। কলেজে পঠনপাঠনও হোক, ইউনিয়নও থাকুক। সেন্ট পলসে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সভ্য সমাজে হওয়া কাম্য নয়। আমাদের দাবি, শাসক দল যেন শক্ত হাতে তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করে।” আপনার মতামত জানান -