এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অসুস্থ প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রীকে দেখতে গেলেন হেভিওয়েট কংগ্রেস সংসদ, জোট জল্পনা আরো বাড়ল

অসুস্থ প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রীকে দেখতে গেলেন হেভিওয়েট কংগ্রেস সংসদ, জোট জল্পনা আরো বাড়ল

এদিন দলের দুই বিধায়ককে নিয়ে অসুস্থ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে দেখে এলেন সংসদ সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা|

অনেকেই মনে করছেন যে জেলায় কংগ্রেস-তৃণমূল এখন নিজেদের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে আনছে| সম্প্রতি জেলায় বিজেপি’কে রুখতে সদ্য পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও এই দুই দলে জোট লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ তৃণমূল পরিচালিত ইংলিশবাজার পুরসভার একটি ফোয়ারা সৌন্দর্যায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে ডালুবাবু ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৌসম নূরের নাম প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয়েছে।

প্রবীণ নেতা ডালুবাবুর মতে, একজন পরিচিত মানুষ অসুস্থ তাঁকে দেখতে যাওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। ডালুবাবুর দাবি যেহেতু ওনারা দু’জনেই রাজনীতির মানুষ তাই হয়ত এই চর্চা হচ্ছে। কৃষ্ণেন্দুবাবুও ডালুবাবুর সাথে সহমত হয়ে বলেন, “উনি আমার অনেক দিনের পরিচিত। আমি অসুস্থ শুনে এসেছিলেন। আমরা কিছু হাসিঠাট্টা করেছি। রাজনৈতিক কোনও বিষয় ছিল না।‘’

এই বিষয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বেনজির নূরও একই কথাই বলেন| মালদহের ঐতিহ্য মতে যে একজন অসুস্থ মানুষের পাশে আরেকজন তাঁর রাজনৈতিক ও ব্যক্তি পরিচয় ভুলে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছে নূর। মানুষের স্বাভাবিক সহানুভূতিকে রাজনীতি দিয়ে বিচার না করাই বাঞ্ছনীয়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সরকারও (বাবলা) জানান যে, জেলার একজন অভিভাবকতুল্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁর এক অসুস্থ অনুজকে দেখতে গিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তী অধ্যায়ে মালদহের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সখ্য একটি বড় চর্চার বিষয়। জেলার বিজেপিকে রুখতে মাসখানেক আগেই দুই দলের মধ্যে মেলামেশা দেখা গিয়েছে| তখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা| গত ২১ জুলাই জেলার এক কংগ্রেস বিধায়ক ও শহর কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপিকে রুখতে পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির ত্রিশঙ্কু বোর্ডে সক্ষম হয়েছে দুই কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!