হেভিওয়েট নেতাদের তৃনমূলে যাওয়া আটকাতে আসরে নামল কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্য June 22, 2018 রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে কংগ্রেস বিরোধীদলের তকমা পেলেও ধীরে ধীরে যেভাবে সর্বত্র দলীয় নেতা, বিধায়ক থেকে কর্মীরা শাসকদল তৃনমূলে নাম লেখাচ্ছেন তাতে প্রবল চাপে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের যে চারটি লোকসভা আসন থেকে কংগ্রেস নেতারা নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই মুর্শিদাবাদ ও মালদাতেও শাসক দলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে সেখানকার দাপুটে নেতাদের মধ্যে। কংগ্রেসের অনেকে মনে করছেন, মালদার দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম বেনজির নুর তৃনমূলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন, আর এতেই 2019 র লোকসভা ভোটের আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিধান ভবনের। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অন্যদিকে তৃনমূলে যাওয়া তো দূরঅস্ত, তারা যে দলইবদল করছেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মালদার এই দুই কংগ্রেস সাংসদ। সম্প্রতি বিধান ভবনে এরাজ্যের কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সাথে লোকসভা নির্বাচনের রননীতি নিয়ে দীর্ঘক্ষন বৈঠক হয় মালদার গনি পরিবারের এই দুই কংগ্রেস নেতার। এদিকে বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার দলের কোর কমিটির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ভেতরে ভেতরে কংগ্রেস বিজেপিকে সাহায্য করছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগকে খন্ডন করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী কী জানেন! তৃনমূলের কোন কোন নেতা মন্ত্রী বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখছেন! বাংলায় বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা তো তৃনমূলই করেছিল।” এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এত সব রাজনৈতিক কুটকচালি চললেও এ রাজ্যে যদি কংগ্রেসের নেতাদের এভাবে ঘাসফুল শিবিরে পা বাড়াতে দেখা যায়, তাতে যে অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বেন তা এককথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন বিধান ভবনে নেতারা। আর তাই লোকসভা ভোটের আগে দলের এই রক্তক্ষরন আটকাতে দলীয় সাংসদ বিধায়কদের নিয়ে ধাপে ধাপে বৈঠক সারছে এরাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। আপনার মতামত জানান -