ছিঁড়ে-লাথি মেরে তৃণমূলের পতাকার অপমান করেছে বিজেপি সমর্থকরা, রগে ফুঁসছেন তৃণমূল সমর্থকরা জাতীয় রাজ্য August 12, 2018 রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে শাসকদল তৃনমৃলের পতাকা, ফেস্টুন এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছেড়ার অভিযোগ উঠত বামেদের বিরুদ্ধে। কালের নিয়মে বর্তমানে রাজ্যে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্যের দ্বিতীয় বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে আসতে না আসতেই সেই বিজেপির বিরুদ্ধেও উঠল শাসকদলের পতাকার চূড়ান্ত অবমাননা করার অভিযোগ। গত শনিবার কোলকাতার মেয়ো রোডে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের একটি সভা ছিল। সেই সভায় যাতে গেরুয়া শিবির ঠিকমত দানা বাধতে না পারে তার কারনে রাজনীতির অঙ্গ হিসাবে সেই বিরোধী বিজেপিকে চাপে রাখতে গোটা মেয়ো রোডে লাগানো হয় তৃনমূলের পতাকা। এতপর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও গন্ডগোলটা বাধল ঠিক বিজেপির সভার দিন। জানা গেছে, যখন বিজেপির এই সভা চলছিল তখন তাঁদের দলের কর্মীরা তৃনমূলের পতাকায় থুতু ছেটানো, পানের পিক ফেলা থেকে লাথি মারা এইসব করছিল। যা ভিডিও করে রেখেছেন অনেক তৃনমূল সমর্থকেরাও। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এ প্রসঙ্গে চন্দননগরের এক তৃনমূল কর্মী সুমিতকুমার দে বলেন, “দুপুর 12 টা থেকে সাড়ে 12 টা পর্যন্ত মেয়ো রোডে বিজেপির কর্মীরা আমাদের দলের পতকাকে যেভাবে অবমাননা করল তা সত্যিই একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখের। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এব্যাপারে সব জানিয়েছি।” অন্যদিকে বিজেপির এহেন আচরন সম্পর্কে তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাজ্যের তৃনমূল নেতা তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” বিজেপি অসভ্য, বর্বর ও হিংস্র রাজনীতির ধারক ও বাহক। তাইতো আমরা বলি যে ওদের একটাও ভোট দেবেন না। কারন ওরা বাংলারযর সংস্কৃতিকেই বোঝে না।” অন্যদিকে এই ঘটনাকে সমর্থন না করলেও শাসকদলের প্রতি মানুষের ক্ষোভেই যে এই ঘটনা ঘটেছে তা বলে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু। কিন্তু যে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু তার জবাব ভোটবাক্সে না দিয়ে বিজেপি কর্মীরা যেভাবে তৃনমূলের পতাকাকে অবমাননা করলেন তাতে কি দুকদম এগিয়েও দশকদম পিছিয়ে গেল না বিজেপি! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -