এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গঙ্গারামপুর কান্ডে ধরা পড়ল অভিযুক্ত, জোর অস্বস্তি তৃণমূলের!

গঙ্গারামপুর কান্ডে ধরা পড়ল অভিযুক্ত, জোর অস্বস্তি তৃণমূলের!

সম্প্রতি একটি ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন তুলে দিয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর গ্রামে বিজেপির এক মহিলার বাড়ীর ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সেই মহিলা। যার ফলস্বরুপ সেই মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টানতে টানতে তার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এই ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হতেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। এমনভাবে দিন-দুপুরে এক মহিলা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হওয়া এবং গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠায় সরব হতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এমনকি এই ঘটনার বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে দেখা যায় বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা হওয়াতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলেও দাবী তুলতে শুরু করেন অনেকে। তবে এবার অবশেষে চারদিন পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন গঙ্গারামপুর কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান অমল সরকার। জানা যায়, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বামনগোলা থেকে বাসে করে নন্দনপুরে আসছিলেন। আর সেই সময় নন্দনপুর বাসস্ট্যান্ডে বাস ঢোকার মুখেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আর এদিন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার সাথে সাথেই গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক তাকে এক দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে ঘটনার চারদিন পর তৃণমূলের নেতা তথা অভিযুক্ত অমল সরকার গ্রেফতার হওয়ায় এখন নানা মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “যে দলের কর্মী বা নেতা হন না কেন, সমাজের বুকে অমানবিক ঘটনা ঘটালে রেহাই নেই। আমাদের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যত বড়ই কর্মী হোন না কেন, অন্যায় করলে দল তার পাশে থাকবে না। ইতিমধ্যেই আমাদের দলের তরফে উপপ্রধানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। তারা যথেষ্ট ভালো কাজ করে। আমরা জেলা নেতৃত্ব পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।”

এদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় তৃণমূল অনেকটাই চাপে পড়েছে বলে পাল্টা শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল চাপে পড়ে গিয়েছে‌। যেহেতু এই অমানবিক ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় হয়েছে, তাই তারা বাধ্য হয়ে দলের সম্পদদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছে। চারদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, বাকি দুজন এখনও অধরা। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। না হলে আমরা জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগ করব।” সব মিলিয়ে এবার ঘটনার চারদিন পর তৃণমূলের উপপ্রধান গ্রেপ্তার হলেও, বাকি দুই অভিযুক্ত কবে গ্রেফতার হয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!