এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পূর্ব-বর্ধমানে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে একাধিক হেভিওয়েট নেতারা যোগ দিলেন বিজেপিতে

পূর্ব-বর্ধমানে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে একাধিক হেভিওয়েট নেতারা যোগ দিলেন বিজেপিতে


লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি আঠারোটা আসন দখল করার পর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে দিকে দিকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। তবে মাঝে সেই যোগদানের হিড়িক কিছুটা হলেও কমেছিল। কিন্তু ফের রবিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান ঘাসফুল শিবিরের চিন্তা অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিল।

সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে কাটোয়া 1 ব্লকের জগদানন্দপুরে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল নেতা বিপুল দাস, পূর্বস্থলী 2 পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস দে, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তড়িৎকান্তি রায়, পঞ্চায়েত সদস্য পূর্ণিমা দাস সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।

জানা গেছে, এদিন এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া, বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল সহ অন্যান্যরা। আর পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের এইভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান, রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কেন এই সমস্ত নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন!

একাংশের মতে, তৃণমূলের তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্য, যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সেই বিপুল দাসের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। লোকসভা ভোটের পর এই দুই গোষ্ঠীর দুই নেতার সংঘাত আরও চরমে উঠেছিল। পরবর্তীতে বিপুলবাবুর সাথে তপন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কের তিক্ততা কমাতে দলীয় কার্যালয়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ একটি বৈঠক করেন। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর এরপরই ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ায় এদিন সেই বিপুলবাবু বিজেপিতে নাম লেখালেন বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আরেক তৃণমূল নেতা তড়িৎকান্তি রায়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানও এদিন তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে। অনেকে বলছেন, বিগত 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তড়িৎবাবু টিকিট না পাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় তাকে। আর তাই এদিন সেই ক্ষোভেই বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। যদিও বা এই প্রসঙ্গে সেই তড়িৎকান্তি রায় বলেন, “তৃণমূলে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তাই মোদিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল দাস বলেন, “তৃণমূলে থাকতে আর ভালো লাগছিল না। তাই দল ছেড়েছি।” তবে দলের এই নেতাদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন তিনি বলেন, “ওনারা তো আগে বিজেপিই করতেন। তাই তৃণমূল ছেড়ে গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না। তবে যিনি জেলা পরিষদের সদস্য, তিনি তার সদস্যপদ ছেড়ে গেলেই ভালো করতেন।”

তবে বিপুলবাবু একসময় বিজেপি করলেও পরবর্তীতে ক্ষমতার জন্য তৃণমূলে গিয়েছেন। আবার এখন বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে, তা ভেবে তিনি বিজেপিতে এসেছেন বলে ইতিমধ্যেই বিজেপি দলের অনেকেই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছে। যদিও বা এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া বলেন, “বিজেপি হল গঙ্গাজল। তাই বিভিন্ন দল থেকে যারা বিজেপিতে আসবেন, তারা গঙ্গা জলে শুদ্ধ হয়ে যাবেন। এখানে দলীয় শৃঙ্খলা মেনেই সবাইকে চলতে হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!