তৃনমূলের গরিব পুরপ্রধান, তাই সরকারি প্রকল্পে তাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে প্রাসাদসম অট্টালিকা মেদিনীপুর রাজ্য June 26, 2018 রাজ্যের রামজীবনপুর পুরসভার পুরপ্রধান নির্মল চৌধুরীর পরিবারের চার সদস্য। দু ছেলে রোজগার করে। তিনি নিজে পূজার্চনা করেন। আর থাকেন মাটির বাড়িতে। তাই এবার এই গরিব পুরপ্রধান ও তাঁর দুই ভাইকে সরকারি প্রকল্প ” সবার জন্য বাড়ি” র মধ্যে দিয়ে নতুন গৃহ নির্মান করে দেওয়া হচ্ছে। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির কাউন্সিলর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় এ নিয়ে বলেন, ” সঠিক উপভোক্তারা ঘর না পেলেও পুর প্রধান ও তাঁর দুই ভাই সেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে ঘর বানিয়েছেন। এটা তো চরম দুর্নীতি।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেন, আমি গরিব। আর আমার ভাইয়েরা সঠিক ভাবেই এই ঘর পেয়েছে।” তিনি যদি গরিব হন তাহলে ছেলের গাড়ি আবার সেই গাড়ি দিয়ে পুরসভার ভাড়া খাটানো হয় কী করে এই প্রশ্ন তুলেছেন ঘাটালের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভানতি রতন দত্ত। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ছেলেকে এই গাড়ি দেওয়ার পেছনে পুরপ্রধানে পশ্রয় রয়েছেই। নাহলে এও কি সম্ভব! এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সূত্রের খবর, ” সবার জন্য ঘর” এই প্রকল্পটি কেন্দ্র ও রাজ্যের সমবেত প্রকল্প।সেখানে 325-400 বর্গফুটের এই ঘরে কেন্দ্র 1 লক্ষ 50 হাজার ও রাজ্য 1 লক্ষ 93 হাজার টাকা দেয় ও উপভোক্তাকে দিতে হয় 25 হাজার টাকা। অভিযোগ,325 নয় দেড় হাজার বর্গফুটের বাড়ি তৈরি হচ্ছে পুরপ্রধানের। এ প্রসঙ্গে সঠিক খোজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের তদারকিতে থাকা স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির অধিকর্তা সুতনু প্রসাদ কর। অন্যদিকে তৃনমূলের অনেকেও পুরপ্রধানের এহেন সুবিধা নেওয়াকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না। এ প্রসঙ্গে এখানকার তৃনমূল বিধায়ক ছায়া দোলুই বলেন, ” বিষয়টি জানা নেই। খোজ নিয়ে বিস্তারিত বলব।” সব মিলিয়ে ঘাটালের রামজীবনপুর পুরসভার পুরপ্রধানের সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পাওয়া নিয়ে সরগরম গোটা এলাকা। আপনার মতামত জানান -