এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কারা প্রকৃত তৃণমূলী বিবাদে তালা ঝুলল শাসকদলের পার্টি অফিসে

কারা প্রকৃত তৃণমূলী বিবাদে তালা ঝুলল শাসকদলের পার্টি অফিসে

পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে নির্দল প্রার্থীরাও সমস্যা তৈরি করেছিল তৃণমূলের জয়ের পথে। নির্বাচন পর্ব উতরে গেলেও নির্দল দের কারণে ফের বিবাদে জড়ালো ঘাসফুল শিবির। তবে এবারে বিবাদের কারণটা একটু অন্য। অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা এলাকার রামপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হানা দিয়ে জোর করে তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকদের বের করে দেয় কিছু নির্দল প্রার্থীরা। তারপর অফিসে তালা ঝোলায়। এবং এখানেই শেষ নয়। এরপর তাঁরা দাবী করে তাঁরাই প্রকৃত তৃণমূলের লোক। অন্য সবাই মেকি।

এই অদ্ভূত ঘটনার নজির বেশীরভাগ দেখা গেছে সেসব এলাকায় যেখানে শাসকদলকে হারিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে নির্দল প্রার্থীরা। দলীয় কার্যালয় এভাবে দখল করছে তাঁরা। তারপর তৃণমূলের লোকজনের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে তাঁদের তৃণমূলীয় পরিচয়। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে খবর পাওয়া গেছিলো বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূলের দলের লোকজন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নির্দলের আসন গুলো থেকেও ভোটে লড়ে জয় হাসিল করেছে বেনিয়ম করে। এখন নির্দলেরা সুযোগ বুঝে ঘুরে দাঁড়িয়ে একরকম বদলাই নিচ্ছে তৃনমূলের থেকে। এমনটাই ধারণা করছেন রাজ্য রাজনৈতিকমহলের একাংশ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এ প্রসঙ্গে পাওয়া যায় স্থানীয় নির্দল পার্টির সমর্থক রাজু রায়ের বক্তব্য। তিনি আবার বললেন অন্য কথা। জানালেন, যে পার্টি অফিসকে তৃণমূল নিজের কার্যালয় বলে দাবী করছে সেটি আসলে গ্রামের একটি ক্লাব ছিল। হঠাৎ একদিন তাঁরা নিজেরাই ঢাকঢোল পিটিয়ে ওটাকে নিজেদের অফিস বলে। সেখানে বোমা রাখতো তাঁরা। এবং গোপনে চলতো অসামাজিক কাজ। এতে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করে এলাকাবাসী। তাঁরা দাবী করে এসব ক্লাবঘরে রাজনীতি ঢুকবে না। ক্লাবঘরকে রাজনীতিমুক্ত করে রাখা হোক। আর সেই দাবীতে অনড় থেকে তাঁরাই তৃণমূলের কর্মীদের হটিয়ে ক্লাবটি উদ্ধার করতে চেয়েছে। তবে এই বয়ান মিথ্যা বলে স্থানীয় তৃনমূল নেতা জয়দেব ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি ওই ক্লাবঘরই দলীয় কার্যালয় হিসাবে রয়েছে তাঁদের কাছে।  নির্দলেরা হিংসার বশবর্তী হয়ে বহিরাগতদের নিয়ে এসে অযথা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। এই ঘটনা জেলা নেতৃত্বদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই তৃণমূল বনাম নির্দলদের দ্বন্দ্বের জেরে অশান্ত হয়ে আছে গলসি থানা এলাকা। এই বিবাদের একটা বিহিত না হলে থমথমে ভাব কাটবে না বলেই আন্দাজ করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!