এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুরগির ছানা বিলি নিয়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে! লোকসভার আগে ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি

মুরগির ছানা বিলি নিয়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে! লোকসভার আগে ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি

পঞ্চায়েত মাধ্যমে মুরগির ছানা বিলি তা নিয়েও মারপিট। ভাবা যায় না, কিন্তু এটাই সত্যি ।মুরগির বাচ্চা বিলিকে কেন্দ্র করে সোমবার ডেবরায় তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বিতর্ক ক্রমশ হাতাহাতিতে গড়ায় বাধে। যার জেরে একজন জখমও হয়েছেন। মুরগির ছানা বিলিতে শাসক দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিরোধী শিবিরকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বিরোধী গোষ্ঠী অভিযোগ করে, নিজেদের লোক ছাড়া কাউকে মুরগিছানা দেওয়া হচ্ছে না। বিতর্কের সূত্রপাত হয় এই নিয়েই। কাদের মধ্যে মুরগির ছানা বিলি হচ্ছে তা জানতে না পারার কারণে অনেক পঞ্চায়েত সদস্যকেই এলাকায় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।

জানা গেছে,এদিন ডেবরা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন ব্লকের গ্রামবাসীদের মধ্যে মুরগি বাচ্চা বিলি করা হচ্ছিল।সেই সময় এক উপভোক্তা মুরগির ছানা না পেয়ে প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধোর করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের একটি গোষ্ঠী বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। পরে যা রাস্তা পর্যন্ত নেমে আসে।

গণ্ডগোলের জেরে বেশ কিছুক্ষণ মুরগির বাচ্চা বিলির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি রঞ্জন সিং অবশ্য বলেন, “সেরকম কিছু হয়নি। নিজেদের মধ্যে একটু ধস্তাধস্তি হয়। পরে আবার বিলি করা হয়েছে।”অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী মুড়া বলেন, “এব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই।

প্রসঙ্গত, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর বিভিন্ন ব্লকে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মুরগির বাচ্চা বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ১0 টি করে ২৮ দিনের বাচ্চা দেওয়া হচ্ছে। দপ্তর এর তরফ থেকে,অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের মধ্যে বিলির কাজ শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে। বিলি শেষ হয়ে গেলে প্রাণিমিত্ররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুরগিগুলিকে টিকা দেবেন।

পাশাপাশি এই মুরগিগুলোকে কীভাবে প্রতিপালন করতে হবে দপ্তরের পক্ষ থেকে তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ডেবরা ব্লক দপ্তর এর তরফ থেকে মোট ২২ হাজার মুরগি বাচ্চা পেয়েছে। এর আগে একবার বিলি করা হয়েছে মানে দ্বিতীয় দফার বিলি চলছে।

অভিযোগ, কারা মুরগি বাচ্চা পাবে, তা ঠিক করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতি থেকে কোনও বৈঠক করা হয়নি। এমনকি অনেক সদস্য এব্যাপারে কিছু জানতেই পারেননি। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ। ডুঁয়া-২ পঞ্চায়েতের সদস্য সমীর গাঁতাইত বলেন, “আমাদের অন্ধকারে রেখে সব ঠিক করা হয়েছে। অনেক প্রকৃত প্রাপক বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের”।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে,পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কর এ বিষয়ে বলেন, “বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতি থেকে কোনও তালিকা তৈরি করা হয়নি। আগের পঞ্চায়েত সমিতি যে তালিকা তৈরি করেছিল, সেই তালিকা ধরেই বিলি করা হয়। ভুল বোঝাবুঝির জন্য এদিন সামান্য বিরোধ দেখা দেয়। পরে তা মিটে গিয়েছে।”পাশাপাশি দলের নেতা তথা কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য বলেন,” দু’পক্ষকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!