তৃণমূল জামানায় এলইডি সত্বেও আট বছরে কলকাতা পুরসভার বিদ্যুতের বিল বাড়ল তিন গুণ কলকাতা রাজ্য November 15, 2018 বর্তমানে নানা দিক থেকে বিভিন্ন সমস্যায় জেরবার রাজ্যের কলকাতা পৌরসভা। এবারে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত ফের নতুন এক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কি সেই সমস্যা? সূত্রের খবর, এবার কলকাতা পুরসভার বিদ্যুতের বিল মাস বাবদ এসেছে 35 কোটি টাকা। আর বিদ্যুতের বিলের এত বহর দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ সকলেরই। একাংশের প্রশ্ন, 2010 সালে এই তৃণমূল বোর্ডই যখন এখানে শাসন ক্ষমতা চালিয়েছিল ঠিক তখনই বিদ্যুতের বিল 12 থেকে 13 কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত 8 বছরে তা তিনগুণ বৃদ্ধি পেল কি করে? জানা গেছে, সময়ের সাথে সাথে পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি পাম্পের ব্যবহার, রাস্তার আলোর কাজ অনেকটাই বেড়েছে। আর তাই এই বিদ্যুতের মাশুলও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির পেছনে একটি অন্য কারণও রয়েছে বলে মত পুর আধিকারিকদের। জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নাকতলার টালিনালার পাড়ে সরকারি জমিতে গজিয়ে ওঠা একটি ক্লাব বিদ্যুতের সংযোগ চুরি করেছিল বলে অভিযোগ করেন অনেকে। কিন্তু ক্লাব কর্তারা শাসকদলের ঘনিষ্ট হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সেই পুর অফিসাররা আর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস দেখাননি। অন্যদিকে এই সমস্ত বিদ্যুৎ মাসুল যেহেতু রাজ্য সরকার দেয়, তাই তার মাশুল বৃদ্ধি হলেও আদতে কোনোও ভ্রুক্ষেপই নেই পুর কর্তৃপক্ষের বলে মত পুরসভার একাংশ কর্মীদের। কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে তো আখেরে ক্ষতি হচ্ছে সরকারেরই! কবে বন্ধ হবে বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ? এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার আলো দপ্তরের মেয়র পারিষদ মনজর ইকবাল বলেন, “আমরা দুটো পদ্ধতি নিয়েছি। যেমন টাইমারে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আলো জ্বলে তা বন্ধ হয়ে যাবে। ঠিক তেমনি এনসিপি যন্ত্রের সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বাতি জ্বলবে। আর তার বেশি হলেই ফিউজ কেটে যাবে। বেআইনিভাবে কোনো বিদ্যুৎ জ্বালানোর চেষ্টা হলেই এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পাশাপাশি গ্রীন সিটি প্রকল্পে এলইডি লাইট লাগানোয় এই বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী তিনি। সব মিলিয়ে এখন কেন চোখ কপালে ওঠার মতো বিদ্যুতের বিল আসলো কলকাতা পৌরসভায় আর মাশুল কমাতে ঠিক কিই বা পদক্ষেপ নিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -