তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার অপরাধীরা, সামনে এল চাঞ্চল্যকর মোড় রাজ্য April 19, 2018 রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখেই অত্যন্ত কর্মদক্ষ ভূমিকায় পাওয়া গেলো পুলিশ প্রশাসনকে। সোনারপুরে আইএনটিটিইউসি নেতা সমীর মিস্ত্রী খুনের রহস্যের মাত্র দশ দিনেই সমাধান করলো পুলিশ। পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট অনুযাই খুনের পিছনে রয়েছে নেতার স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। অভিযুক্ত দুজনকে পুলিশি হেফাজতে রেখে আরো কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে । উল্লেখ্য গত ৯ ই এপ্রিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাতে দুষ্কৃতিদের গুলির আঘাতে খুন হন ট্যাক্সি ইউনিয়নের সম্পাদক সমীর মিস্ত্রি। ঐদিন বাড়িতে রাতের খাওয়ার খাবার সময় আচমকাই ঘরের দরজা খুলে দুষ্কৃতিরা তাঁকে লক্ষ্য করে এলো পাথারি গুলি করে। এরপরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও অবধি চন্দন মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রথম সন্দেহ হয় দুর্যোগের রাতে ঘরের সদর দরজা খোলা থাকা নিয়ে। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে মৃতের স্ত্রী মধুমিতা মিস্ত্রি জানিয়েছিলেন, গরম থাকার কারণে তিনি দরজা খুলে রেখেছিলেন। কিন্তু ঐ রাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাঁর বয়ানের সত্যতা বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। পুলিশের অনুমান বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই এই খুন। তদন্তের ফলে আরও জানা গেছে মধুমিতা মিস্ত্রি চার মাস আগে চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে বারুইপুরে গিয়েছিলেন ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবির সাথে আইনী পরামর্শের জন্যে। মধুমিতা দেবীর প্রেমিক চন্দন মন্ডল গত কয়েকদিন যবৎ তাঁকে বিয়ের জন্যে তাড়া দিচ্ছিলেন। এমনকি বেশি দেরী করলে তিনি আত্মঘাতী হবেন বলে জানিয়ে ইদানিং হুমকিও দিচ্ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার দিন রাতে মধুমিতা দেবীর বয়ান থেকে জানতে পারা যায় পাড়ায় কিংবা সংগঠনে কারও সঙ্গে কোনও রকমের বিরোধীতার সম্পর্ক ছিলো না সমীর বাবুর। তখন থেকেই পুলিশ অনুমান করে রাজনৈতিক বা পেশাগত কোনো অভিসন্ধি খুনীর নেই। সেই মতন পুলিশ তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। আপনার মতামত জানান -