ঘরের ছেলেকে ফিরে ঘরে ফিরিয়ে বড় পদ দিয়ে বরণ করলো তৃণমূল উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 25, 2018 রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সূত্র ধরে বহিষ্কৃত সৈণিককে ফিরিয়ে নিল তৃণমূল। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ট ২৪ টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন নিজের দখলে নিল। অন্যদিকে,বিজেপি,কংগ্রেস এবং নির্দল যথাক্রমে ২৪,১৬ এবং ১ টি আসন পেয়েছে। এই নির্দল অাসনটি জিতেছে তৃণমূলের বহিষ্কৃত সদস্য মানস ঘোষ। ১৪৪৪ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সে। এরপরই নাটকীয় ভঙ্গিতে তৃণমূল দলে টানে তাকে। সহসভাপতি পদটির জন্য নির্বাচিত করা হয় মানস বাবুকে। মানস বাবুও পুরানো দলের ডাকে সাড়া দিলেন। অন্যদিকে,সভাপতি পদে বরণ করে নেওয়া হল ছিতা টুডুকে। এদিকে, দল থেকে বহিষ্কৃত সদস্যের তৃনমূলে ফেরাকে কেন্দ্র করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। পঞ্চায়েতের সহসভাপতি পদের লোভ দেখিয়ে মানস বাবুকে দলে টেনেছে তৃণমূল,এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা যায়,২০১৭ সালে রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের আগে মানসবাবু কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। সেসময় তৃণমূল তাকে দলের জেলা সহ-সভাপতি পদের দায়িত্বটি দেয়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় নেতৃত্ব তাকে মনোনয়ন না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই-এ নামেন তিনি। এরপরই অসন্তোষের কারণ হন তৃণমূল কংগ্রেসের। দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। কিন্তু নির্দল হিসাবে লড়াই করে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন তিনি। এ দেখে টনক নড়ে তৃণমূলের। তাকে সহ-সভাপতি করার জন্য প্রস্তাব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য অনুপ কর এবং হবিবুর রহমান। অন্যদিকে সভাপতি পদের জন্য ছিতা টুডুর নামের প্রস্তাব দেন মনোরঞ্জন দাস এবং জলনুর বিবি। বিজেপি সভাপতি এবং সহ সভাপতি পদের জন্য কোনো নামের প্রস্তাব না দেওয়ায় কোনো সমস্যা ছাড়াই ছিতা টুডু এবং মানস ঘোষ সভাপতি এবং সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় সহ সভাপতির পদটিই টার্গেট করেছিল তৃণমূলের বহু সদস্যরা। সহ সভাপতি পদের জন্য নাম উঠে এসেছিল আলতাব হোসেন,অনিমেষ দেবনাথ,নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। তবে সবাইকে পেছেন ফেলে তৃণমূলের প্রতীকে না জিতেও রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদটি ছিনিয়ে নিলেন মানস ঘোষ। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হওয়ার পর মানস ঘোষ নিজেকে মা-মাটি-মানুষের অনুগত সৈনিক হিসাবেই নিজেকে ব্যাখ্যা করেছেন। ভবিষ্যতে দলনেত্রীর নির্দেশ মতোই কাজ করার ইচ্ছে তাঁর। দল যে তাকে বহিষ্কার করেছিল এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ বা রাগ প্রকাশ করতে দেখা গেল না তাকে। বরং প্রকৃত সৈনিকের মতো আগামীতে তৃণমূলকে আরো শক্তিশালী করার কাজে নিয়োজিত থাকবেন তিনি,এমটাই জানালেন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আবহ মানস ঘোষের বিরুদ্ধে দুই আদিবাসী মহিলা সদস্যের অপহরণের অভিযোগে কারণে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিকমহলে। পরপ আবার জল্পনা বাড়িয়ে ওই মহিলা দুজন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তৃণমূল কি নিজের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে দল থেকে ছাটাই করা সদস্যকে দলে টানল? এই প্রশ্ন উঠলে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য পূর্ণেন্দু দে বলেন, এরকম কোনো ব্যাপার নয়। মানস বাবু নিজেই দলে ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাছাড়া দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরেও তিনি একদিকে যেমন দলের প্রচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেছেন,তেমনি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছেন। আর তাছাড়া দলীয় সদস্যদের সম্মতি নিয়েই পঞ্চায়েতের সহসভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আছে। আগামী দিন তৃণমূলের উন্নয়নের কান্ডারী হবেন তিনি,এমনটাই আশ্বাস রাখলেন পূর্ণেন্দু বাবু। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তথা রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দ সরকার বলেন, মানস বাবু সবসময় তৃণমূলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন। দল তাকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী না করলেও তিনি নীরবে দলের পাশেই থেকেছেন। দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা দেখেই তৃণমূল নেতৃত্বরা দলে ফিরিয়ে আনলেন তাকে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে। আপনার মতামত জানান -