নতুন সভাপতির আমলেও টিএমসিপির বিরুদ্ধে জোর করে টাকা তোলার অভিযোগ অব্যাহত রাজ্য October 11, 2018 রাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তিতে তোলাবাজির অভিযোগে দলীয় ছাত্র সংগঠনের প্রতি রুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনের সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন জয়া দত্তকে। আর এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সৎ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে বসানো হয় এই তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে। কিন্তু যে অভিযোগে জয়াকে সরানো হল এবার সেই অভিযোগ তো উঠছে তৃনাঙ্কুরের নেতৃত্বাধীন তৃনমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধেও! কিন্তু কী সেই অভিযোগ! সূত্রের খবর, দেশবন্ধু পার্ক লাগোয়া রাজ্যের বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জে বি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজে এবার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে জোর করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা টাকা চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় ফের তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল শাসকের অন্দরে। এমনিতেই এই কলেজে নিট উত্তীর্ন ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হলে সরকারি নিয়মে তাদের 3100 টাকা দিতে হয়। আর তার ওপর এখন গোঁদের বিষফোঁড়া হিসেবে ট্যুর এবং ভ্রমনবাবদ 2500 এবং ইউনিয়ন ফিজ বাবদ 1500 টাকা দিতে হচ্ছে ইউনিয়নের দাদাদের। এমনকী এই টাকা না দিতে পারলে ভর্তিও হতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রছাত্রীদের। অনেকে ইউনিয়নের দাদের ভয়ে এই ব্যাপারে মুখ খুলতেও চাইছেন না। কিন্তু এইভাবে টাকা তোলা কি সত্যিই যুক্তিযুক্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতির কোর্টেই সমস্ত বল ঠেলে দিয়েছেন এই জে বি রায় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক হাসিম আব্দুল হালিম। অন্যদিকে ছাত্র সংসদের সভাপতিকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সেই সুখেন শেখ বলেন, “কারও কাছ থেকে জোর করে টাকে নেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা ভ্রমনে গেলে প্রথম বর্ষও যেতে চায়। আর সরকার অত টাকা দেয় না। এছাড়াও কলেজে নানা অনুষ্টান হয়, তার জন্যও টাকা লাগে।” কিন্তু এই টাকা দেওয়ার দ্বায়িত্ব তো ছাত্রছাত্রীদের নয়! তাহলে তাদের সাথে এরকম আচরন করা হচ্ছে কেন? তা জানার জন্য এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ উৎপলেন্দু জানাকে ফোন করলেও তিনি কোনোও ফোন ধরেননি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে এই ঘটনায় বিস্মিত তৃনমূলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি ডাঃ নির্মল মাঝি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে এইভাবে টাকা তোলা তৃনমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্বকে কড়া হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কেন এমনটা হচ্ছে? আদৌ কি দল কোনো ব্যাবস্থা নেবে? এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখব।” এখন জে বি রায়ে এই ট্যুরের নাম করে দলীয় ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের টাকা তোলা বন্ধ করতে শাসকদল কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -