এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রতিবাদের নামে তান্ডবকারীদের সমাজবিরোধী আখ্যা দিয়ে তৃনমূলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক শুভেন্দুর

প্রতিবাদের নামে তান্ডবকারীদের সমাজবিরোধী আখ্যা দিয়ে তৃনমূলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক শুভেন্দুর

 

সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিলের বিরুদ্ধে যারা হিংসাত্মক প্রতিবাদ ছড়াচ্ছে, তাদেরকে রীতিমত সমাজবিরোধী বলে আক্রমণ করতে দেখা গেল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা প্রথম সারির তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। গত রবিবার মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত এনআরসি এবং সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিরোধী মিছিলে যোগদান করেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

আর এই মিছিল থেকেই উগ্র আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে রীতিমতো সরব হতে দেখা যায় পরিবহন এবং সেচমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “সমস্ত দায়িত্বশীল লোকজনদের এখন উচিত, এক হয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করা। যারা বাস, ট্রেনে আগুন দিচ্ছেন, ভাঙচুর করছেন, তাদের বিচ্ছিন্ন করা।” তিনি বলেন, “যারা এসব করছে, তারা সমাজবিরোধী।”

এদিন মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত এই সভায় হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি, রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং, জেলার কার্যকারী সভাপতি নির্মল ঘোষ ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের মিছিলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। নিজের গলায় এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় একাধিক নেতাকে। শুভেন্দু অধিকারী পতাকা হাতে মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

তাকে শ্লোগান দিতেও দেখা যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম কমিটির সদস্যরা। মিছিলে উপস্থিত হয সংগঠনের সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আজকের মিছিলে আমরা যোগ দিয়েছি।” সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মিছিল দেখতে রাস্তার দু’ধারে অনেককেই জননেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, “আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিকভাবে শিষ্টাচার মেনে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনের মেদিনীপুরের মিছিলে আমাকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই আমি এসেছি। প্রতিটি জেলায় এদিন আমাদের মিছিল হচ্ছে।” পাশাপাশি আন্দোলনের নামে যারা ভাঙচুর করছে, তাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “যারা ট্রেন-বাস পোড়াচ্ছে, তারা সমাজবিরোধী।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এদিনের মিছিল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিজেপি বা ভারত সরকার চাইছে, আন্দোলন অন্য জায়গায় চলে যায়। আন্দোলন ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে দায়িত্ব নিয়ে বলছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, সেখানে অন্য রাজ্যে শুধু স্টেটমেন্ট করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তৃণমূল সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন এনআরসি, সিএবি কিছুই হবে না।”

পাশাপাশি শুভেন্দুবাবু জানান, এখন দোষারোপ করার সময় নয়। আমাদের 11 টি গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমরাও এগারোটি এফআইআর করেছি। দোষীদেরকে সময়মতো চিহ্নিত করা হবে। আইন সবার জন্য সমান। কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। সরকারি সম্পত্তি কোনো দলের সম্পত্তি নয়। ওই সম্পত্তি আপনার, আমার সকলের, এটা আগে বুঝতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যজুড়ে যেভাবে আন্দোলনের নামে ধ্বংসলীলা চলছে, তাতে করে আদতে কালিমালিপ্ত হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে আগামী দিনে রীতিমতো অসুবিধা তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উপরে। সেই কারণেই স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের হেভিওয়েট সমস্ত নেতাদেরকে রীতিমত বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে। এখন পরবর্তীতে গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়! সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!