এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাল টিএমসিপির মহা-সমাবেশ – আজ থেকেই শহর কার্যত ছাত্র-যুবদের ‘দখলে’

কাল টিএমসিপির মহা-সমাবেশ – আজ থেকেই শহর কার্যত ছাত্র-যুবদের ‘দখলে’


কোলকাতায় মেয়োরোড গমগম করবে কাল বাংলার সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-যুবদের ভীড়ে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে বৃহত্তর ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করেছে রাজ্যের শাসক দল। ঠিকানা- মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ।  রাজ্যসরকার সমাবেশের ডাক দিলেও এবার অনুষ্ঠান পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাঁধে। তবে অনুষ্ঠান পরিচালনার লাগাম রয়েছে সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

২০১৯ এর গোড়ার দিকেই লোকসভা ভোট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে এটাই সর্ব ভারতীয় স্তরের বৃহৎ সমাবেশ। লোকসভা ভোটে বিজেপি সরকারকে টেক্কা দিতে ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাই তরুণপ্রজন্মকে বোঝাবেন কাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সাম্প্রদায়িকতার আবহ তৈরি করে বিজেপি সরকার যে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করেছে গোটা দেশে,তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেও বাংলার ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার বার্তা দেবেন কাল নেত্রী এমনটাই জানা যাচ্ছে দিলীপ সূত্রে।

প্রতি বছরই  উওর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়ুয়ারা যোগ দেয় ছাত্র সংগঠনের এই কর্মসূচিতে। এবারও একই ছবিও দেখা মিলবে। পাশাপাশি সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাতে প্রতিনিধিরা সমাবেশে উপস্থিত থাকেন,তাও নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের টিএমসিপি ইউনিটকে। এদিন সকাল থেকেই দার্জিলিং মেল,তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস,গৌড় এক্সপ্রেস,কাটিহার এক্সপ্রেসের মতো উওরবঙ্গের বিভিন্ন চত্বর ঘুরে আসা ট্রেনগুলোতে হাজারে হাজরে টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা কোলকাতায় আসবে। মধ্য কেলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের ধর্মশালাগুলিতে তাদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়,জয়া দত্তরা গিয়ে পড়ুয়াদের থাকার জায়গাগুলো তদারক করে এসেছে। টিএমসিপির প্রাক্তন সভাপতি বৈশ্বানর বাবুর মতে, প্রতিষ্ঠাদিবসে একটি ভাবাবেগ কাজ করে। এ জাতীয় সভায় বর্তমান পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রাক্তনরাও স্বইচ্ছায় যোগদান করে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ছাত্র সংগঠনের কাজের মধ্য দিয়ে রাজনীতির জগৎ এ প্রবেশ করেছিলেন। এবারের রাজনৈতিক সমাবেশের গুরুত্ব অনেক বেশি। এমনটাই দাবী তাঁর। শুধু পড়ুয়াদের যোগদানের জন্য নয়,রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে ঠেকাতে নেত্রী তরুণ প্রজন্মকে কী বার্তা দেন,সেদিকেও সবার নজর থাকবে বলেও মনে করছেন টিএমসিপির প্রাক্তন শীর্ষ নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!