তৃণমূলের সদস্য খুনে খুনে এবার নাম জড়ালো মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠর, অস্বস্তিতে শাসক দল রাজ্য July 16, 2018 তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলের খবর ফের প্রকাশ্যে আসলো লোকসভা ভোটের আগে। এর জেরে রীতিমতো উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহার জেলা। টিএমসিপি সদস্য মজিদ আনসারিকে গুলি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই এক নেতা মহম্মদ কালিম ওরফে মুন্না খানের বিরুদ্ধে। জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, কোচবিহার কলেজের বিভিন্ন কলেজে কার দাপট চলবে তা নিয়ে তা নিয়ে নাকি তৃণমূল কংগ্রেসেরই দুই বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং মিহির গোস্বামীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছিলো বহুকাল ধরে। এদিন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের চৌপথি এলাকায় গুলি চালানো হয় মিহির গোস্বামীর অনুগামী মজিদ আনসারিকে। ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হন তিনি। বর্তমানে কোচবিহারেরর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এই ঘটনার কারণ হিসাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ মহম্মদ কালিমের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতিদের মদত দেওয়ার ভারী অভিযোগও তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগের দায় একেবারেই অস্বীকার করেছেন মহম্মদ কালিম। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই পাল্টা দাবী জানান তিনি। এছাড়া আরো বলেন যে,বিরোধীরাই আসলে কিছু যুবকদের দিয়ে এই কাজটি করিয়েছে। মন্তব্যের সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, দু-তিন দিন ধরে অসুস্থ্য থাকার জেরে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাকে। এছাড়া বলেন যে বর্তমানে কোচবিহারের কোনো কলেজেই কোনো সমস্যা নেই। শান্তিপূর্ণভাবেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। এই সন্ত্রাসের ঘটনাটি কলেজ চত্বরের দেড় কিলোমিটারের বাইরের কোনো ঘটনা। কলেজ কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। অন্যদিকে, এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিদের গ্রেফতারের দাবী তুলে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেন টিএমসিপি কোচবিহার পুলিশ সুপার অফিস চত্বরে। এর সঙ্গে পুলিশ সুপারলে ডেপুটেশনও দেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ সভাপতি রাহুল রায় জানান যে এখনো কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে অবজ্ঞা করে তোলাবাজি চালানোর জন্য মজিদ আনসারিকে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। সবটাই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে। এখনো অব্দি প্ররোচক এবং দুষ্কৃতিদের কাউকেই হেফাজতে নিতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাঁদের পাকরাও করার দাবী জানানো হল এদিন রাহুল রায়ের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার জেরে কোচবিহার জেলা শহর বেশ সরগরম হয়ে আছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -