এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের খারাপ অবস্থা দেখেই ফের পুরনোদের ঘরে ফেরার ডাক তৃণমূল সভাপতির

দলের খারাপ অবস্থা দেখেই ফের পুরনোদের ঘরে ফেরার ডাক তৃণমূল সভাপতির

কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়ে যাওয়ার পর এখন সেই ঠেলায় পড়ে দলের দুর্দিনে থাকা কর্মীদেরই ঘরে ফেরার ডাক দিতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। বস্তুত, এবারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসন দখল করার ডাক দিলেও বাস্তবে 22 টি আসন দখল করেই শান্ত থাকতে হয়েছে তৃণমূলকে।

অন্যদিকে প্রবল মোদী হাওয়ায় রাজ্যের 18 টি আসন দখল করেছে বিজেপি। আর দলের এহেন বিপর্যয় এবং রাজ্যে বিজেপির উত্থান নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শনিবারই কালীঘাটের বাসভবনে রাজ্যের সমস্ত জেলার দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। আর সেখানেই বেশ কয়েকটি জেলার সভাপতিদের বদল করে দেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিম বর্ধমান জেলা।

এবারে এই জেলার অন্তর্গত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটানোর জন্য মরিয়া তৃণমূল এখানে বিশিষ্ট অভিনেত্রী মুনমুন সেনকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু গত 2014 সালের মতো এই আসনে এবারও জয়লাভ করেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। আর এরপরই দলের বৈঠকে গত শনিবার সেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সভাপতি বদলে সেখানে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।

আর দায়িত্ব পেয়েই এবার সাংগঠনিক পর্যায়ে রদবদল সহ দলের পুরোনো কর্মীদেরকে ফের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এবারে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকার একটিতেও তৃণমূল লিড পায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আসানসোল পৌর নিগমের 106 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 97 টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিল শাসকদল। একইভাবে বিজেপি দুর্গাপুর পুরোনিগমের 43 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 40 টিতে এগিয়ে এবং কাঁকসা ব্লকে প্রায় 16 হাজার 709 ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। আর দলের এই বিপর্যয়ে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই দলের পুরোনো কর্মীদেরকে কাছে টেনে নেওয়ার বার্তা দিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

এদিন তিনি বলেন, “যারা যারা মমতাকে ভালোবাসেন তাদেরকে তৃণমূলের ছাতার তলায় আনাই একমাত্র লক্ষ্য। মানুষ এখনও যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে রয়েছে এই বিশ্বাসটা সকলকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কে কোন কমিটিতে জায়গা পেল এটা কোনো বিষয় নয়, আমাদের সকলের উদ্দেশ্য মানুষের পাশে থাকতে হবে।” পুরোনো কর্মীদের আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়ার ডাক দিয়ে কি ঘুরে দাঁড়াবে তৃণমূল? তা দেখার জন্য এখন শুধু অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!